পাতার উপর দিকে দেখুন

বিচিত্রা: বৈদ্যুতিন রবীন্দ্র-রচনাসম্ভার

Bichitra: Online Tagore Variorum :: School of Cultural Texts and Records

विचित्रा: इलेक्ट्रॉनिक रवीन्द्ररचनावली :: स्कूल ऑफ कल्चरल टेक्स्टस एण्ड रेकॉर्डज़

 
 

বিশদ নির্দেশ

  1. অন্তর্ভুক্তি
    1. এই ওয়েবসাইটে কী-কী পাওয়া যাবে
    2. এই ওয়েবসাইটে কী-কী পাওয়া যাবে না
    3. পাঠরূপ ও সংস্করণ
    4. অন্বেষণ-যন্ত্র
    5. পাঠান্তর-নির্ণয় প্রণালী
  2. কীবোর্ড
  3. প্রয়োজনীয় কম্পিউটার ব্যবস্থা
  4. প্রতিলিপি-পদ্ধতি
    1. পাণ্ডুলিপি ও মুদ্রিত পাঠের সাধারণ প্রতিলিপি-পদ্ধতি
      1. সমীকরণ
    2. পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি: বিশেষ নিয়মাবলী
      1. সমগ্র পাণ্ডুলিপির একটানা প্রতিলিপি
      2. কোনও বিশেষ রচনার ক্ষেত্রে, ওই পাণ্ডুলিপি থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত পাঠের প্রতিলিপি
    3. পাণ্ডুলিপি-প্রতিলিপিবিধি
    4. পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপিতে ব্যবহৃত চিহ্ন
  5. সংগ্রহ: পাণ্ডুলিপি
    1. পাণ্ডুলিপি-সূচী
    2. শিরোনাম-সূচী
    3. পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি
  6. সংগ্রহ: পুস্তক ও পত্রিকা-পাঠ
  7. রচনা-সূচী
    1. বর্ণানুক্রমিক ভাগ
    2. সম্পূর্ণ তালিকা
    3. অন্যান্য সূচী
    4. কালানুক্রমিক সূচী
  8. অন্বেষণ
    1. অন্তর্ভুক্তি
    2. ব্যবহারবিধি
  9. পাঠান্তর
    1. ত্রিস্তর পাঠান্তর-নির্ণয়
    2. প্রভেদ ব্যবহার-প্রণালী
      1. অংশ-স্তরে পাঠান্তর
      2. উপাংশ-স্তরে পাঠান্তর
      3. শব্দ-স্তরে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’
    3. মিলের শতাংশ-মাত্রা

অন্তর্ভুক্তি

এই ওয়েবসাইটে কী-কী পাওয়া যাবে:

এই ওয়েবসাইটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যরচনা পাওয়া যাবে। বিশ্বভারতী রবীন্দ্র-রচনাবলীর প্রচলন অনুসারে সেগুলি চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে: কবিতা ও গান, নাটক, উপন্যাস ও গল্প, এবং প্রবন্ধ। পাঠগুলি নিম্নলিখিত সূত্র থেকে গৃহীত হয়েছে:

এই ওয়েবসাইটে কী-কী পাওয়া যাবে না:

পাঠরূপ ও সংস্করণ

প্রত্যেক রচনার নিম্নলিখিত পাঠরূপ ও সংস্করণগুলি প্রাপ্তব্য হলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এগুলির সন্ধান পাওয়া এবং ছবি তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। রবীন্দ্র-ভবন সংগ্রহের সব পাণ্ডুলিপি ও অধিকাংশ মুদ্রিত গ্রন্থ ও পত্রিকার বৈদ্যুতিন ছবি সরবরাহের জন্য আমরা রবীন্দ্র-ভবন, রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউণ্ডেশন ও সি-ড্যাক-এর কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আর কৃতজ্ঞ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুটন গ্রন্থাগারের কাছে, তাঁদের রোথেনস্টাইন সংগ্রহের সব রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপির ছবি সরবরাহের জন্য।
আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক কিস্তি ছবি (মুদ্রিত বই ও পত্রিকা থেকে) পাওয়া যায় নি। অন্য সহযোগী সংস্থার আনুকূল্যে তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যথাসাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ঘাটতি থেকে গেছে, সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
মুদ্রিত বইয়ের ক্ষেত্রে সব সংস্করণের প্রথম মুদ্রণ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম মুদ্রণ না পাওয়া গেলে পরবর্তী মুদ্রণ ব্যবহার করা হয়নি।
এই ব্যতিক্রম সাপেক্ষে নিম্নলিখিত সূত্র থেকে পাঠরূপ ও সংস্করণ গৃহীত হয়েছে:

অন্বেষণ-যন্ত্র

অন্বেষণ-যন্ত্রে কেবল এই পাঠগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে:

বাংলা:

ইংরেজি:

পাঠান্তর-নির্ণয় প্রণালী

পাঠান্তর-নির্ণয়ের জন্য প্রত্যেক রচনার সব মুদ্রিত পাঠ ও এই প্রক্রিয়ার উপযুক্ত সব পাণ্ডুলিপি-পাঠ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। হয়নি এইগুলি:

 

কীবোর্ড

বাংলা হরফ ও যুক্তাক্ষর লিপ্যয়নের জন্য ‘অভ্র’ কীবোর্ড প্রণালী ব্যবহৃত হয়েছে। পাঠকদের এই সফ্‌টওয়ারটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে ‘অভ্র’-র পদ্ধতি অনুসারে ইংরেজি হরফে বাংলা শব্দ লিখে তা বাংলায় রূপান্তরিত করা যায়। ওয়েবসাইটে যথাস্থানে তার নির্দেশ দেওয়া আছে।

 

প্রয়োজনীয় কম্পিউটার ব্যবস্থা

এই ওয়েবসাইট ব্যবহারের জন্য কোনও নির্দিষ্ট কমপিউটার-ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই, কিন্তু এই নির্দেশগুলি মনে রাখলে সুবিধা হতে পারে:

 

প্রতিলিপি-পদ্ধতি

পাণ্ডুলিপি ও মুদ্রিত পাঠের সাধারণ প্রতিলিপি-পদ্ধতি

সব পাণ্ডুলিপি, মুদ্রিত বই ও পত্রিকার ছবি ছাড়াও, প্রত্যেকটির পাঠের প্রতিলিপি পরিবেশিত হয়েছে, .txt UTF-8 format-এ। এগুলি দেখতে গেলে ‘রচনাসূচী: সম্পূর্ণ তালিকা’ অথবা ‘পাঠান্তর’ অংশের সারণিতে
 
চিত্রচিহ্নে ক্লিক করুন। পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি সবসময়েই ছবির ডান পাশে দেখা যাবে।
সারণিতে পাঠের পাশে
 
বা
 
চিত্রচিহ্ন না থাকলে বুঝতে হবে, সেই পাঠটি পাওয়া যায়নি।

সমীকরণ

পাঠকের সুবিধার জন্য এবং পাঠান্তর-প্রণালীর স্বার্থে সব পাঠের প্রতিলিপিতে কিছু সাধারণ নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে কখনও-কখনও মূল পাণ্ডুলিপি বা বইয়ের বিন্যাস সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। মূল বিন্যাস ছবি দেখলে বোঝা যাবে।

পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি: বিশেষ নিয়মাবলী

সব পাণ্ডুলিপির ছবির পাশাপাশি তার প্রতিলিপি পরিবেশিত হচ্ছে, .txt UTF-8 format-এ। প্রতিলিপিগুলি দুইভাবে পেশ করা হয়েছে:

পাণ্ডুলিপি-প্রতিলিপিবিধি

পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপিতে ব্যবহৃত চিহ্ন

চিহ্নব্যবহার/টীকা
<পাঠ>বর্জিত পাঠ
{পাঠ}সংযোজিত পাঠ
+++পাঠোদ্ধার করা যায়নি
±পাঠ±পাঠের অবস্থান অনিশ্চিত
৲পাঠ৩৲ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ ৴পাঠ১৴স্থানান্তরিত পাঠ
[\পাঠ\]নিম্নরেখিত পাঠ
⋋১ম পাঠরূপ⋋ ⋌২য় পাঠরূপ⋌এক সঙ্গে একই রচনাংশের দুটি পাঠরূপ
≮পাঠ≯stet: বর্জিত পাঠের পুনর্গ্রহণ
[~  ] অথবা [~]মার্জিনে কোনও টীকা, মন্তব্য, নির্দেশ প্রভৃতি থাকলে সেটি [~ ] চিহ্নের মধ্যে বসানো হয়েছে। মূল পাঠের যে অংশের পাশে সেটি বসানো আছে, পাঠের সেই অংশের গোড়ায় ও শেষে [~] চিহ্ন বসানো হয়েছে।
<⋏⋏> অথবা {⋏পাঠ⋏} অথবা <⋎⋎> অথবা {⋎পাঠ⋎}রেখা, তীরচিহ্ন বা তারাচিহ্নের সাহায্যে কোনও ছোট পাঠ্যাংশ বাক্য/বাক্যাংশের) স্থানান্তর ঘটলে:
বাক্য/বাক্যাংশ নীচ থেকে উপরে উঠে এলে এই চিহ্ন:
  1. যেখান থেকে বাক্য/বাক্যাংশ উপরে উঠে গেছে
    <⋏⋏>
  2. উপরে যেখানে বাক্য/বাক্যাংশ স্থানান্তরিত হচ্ছে
    {⋏[বাক্য/বাক্যাংশ]⋏}
বাক্য/বাক্যাংশ উপর থেকে নীচে নেমে এলে এই চিহ্ন:
  1. যেখান থেকে বাক্য/বাক্যাংশ নীচে নেমে গেছে
    <⋎⋎>
  2. নীচে যেখানে বাক্য/বাক্যাংশ স্থানান্তরিত হচ্ছে
    {⋎[বাক্য/বাক্যাংশ]⋎}
  3. নতুন অবস্থানে {⋏⋏} বা {⋎⋎} বন্ধনীর মধ্যে পাঠ্যাংশটি থাকবে; আদি অবস্থানে কেবল < > বন্ধনী থাকবে। একই পৃষ্ঠায় স্থানান্তরের একাধিক দৃষ্টান্ত থাকলে সেগুলি <⋏1⋏>, <⋏2⋏>, <⋏3⋏> হিসাবে চিহ্নিত হবে।
অথবা
  • কোনও বড় অংশ বা স্তবক নীচ থেকে উপরে উঠে এলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋀
  • কোনও বড় অংশ বা স্তবক উপর থেকে নীচে নেমে গেলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋁
এই সব ক্ষেত্রে, পাঠের আদি অবস্থানে কোনও চিহ্ন বসানো হয়নি।
মূল পাণ্ডুলিপিতে ∟, খাড়া দাগ ইত্যাদি চিহ্ন দিয়ে স্তবক বা অনুচ্ছেদ ভাঙার ইঙ্গিত থাকলে, প্রতিলিপিতে পরের অংশটি নতুন স্তবক বা অনুচ্ছেদে বসানো হয়েছে, আগে ∟ চিহ্ন দিয়ে।

সংগ্রহ: পাণ্ডুলিপি এই অংশে আমাদের প্রাপ্ত সব পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি সংগৃহীত হয়েছে।

  এখানে বাংলা ও ইংরেজি রচনার মধ্যে তফাৎ করা হয়নি, কারণ একই পাণ্ডুলিপিতে অনেক সময় উভয় ভাষার রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।


পাণ্ডুলিপিগুলি চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত:
  1. RBVBMS: রবীন্দ্রভবনের মূল পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ
  2. BMSF: রবীন্দ্রভবনের ‘বাংলা পাণ্ডুলিপি ফাইল’ (Bengali Manuscript Files) সংগ্রহ
  3. EMSF: রবীন্দ্রভবনের ‘ইংরেজি পাণ্ডুলিপি ফাইল’ (English Manuscript Files) সংগ্রহ
  4. HRVD: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুটন গ্রন্থাগারের রোথেনস্টাইন সংগ্রহ
উভয় গ্রন্থাগারের মূল পঞ্জীসংখ্যা রক্ষিত হয়েছে।

পাণ্ডুলিপি ও প্রতিলিপি দুইভাবে দেখা যায়:

পাণ্ডুলিপি-সূচী

১। পাণ্ডুলিপি-সূচী ক্লিক করুন। সব পাণ্ডুলিপি ও তাদের অন্তর্ভুক্ত রচনার তালিকা-সম্বলিত একটি সারণি খুলে যাবে।
২। আপনার অভীষ্ট পাণ্ডুলিপি-সংখ্যার উপর ক্লিক করুন। পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপির পাতা খুলে যাবে। পাতায় সঞ্চালন (navigation)-এর দুটি উপায় আছে:

৩। ছবি দেখার সময় এই কীবোর্ড শর্টকাটগুলি ব্যবহার করা যাবে:

কীবোর্ডশর্টকাটগুলি
Homeপ্রথম পৃষ্ঠা দেখুন
Endশেষ পৃষ্ঠা দেখুন
Backspaceআগের পৃষ্ঠা দেখুন
Enterপরের পৃষ্ঠা দেখুন
↑ (উর্ধ্বতীর)পৃষ্ঠার উপরে চলে যান
↓ (নিম্নতীর)পৃষ্ঠার নীচে চলে যান
← (বামমুখী তীর)পৃষ্ঠার বাঁদিকে চলে যান
→ (দক্ষিণমুখী তীর)পৃষ্ঠার ডানদিকে চলে যান
+বড় করে দেখুন (zoom in)
-ছোট করে দেখুন (zoom out)

৪। প্রতিলিপি দেখার সময় এই কীবোর্ড শর্টকাটগুলি ব্যবহার করা যাবে:

কীবোর্ডশর্টকাটগুলি
Pg Upপৃষ্ঠার উপরে চলে যান
Pg Dnপৃষ্ঠার নীচে চলে যান
Ctl+অক্ষর বড় করুন
Ctl-অক্ষর ছোট করুন
স্পেস বারপ্রতিলিপির জানলা খুলে দিন / বন্ধ করে দিন

৫। প্রতিলিপিচিহ্নের ব্যাখ্যার জন্য Help ক্লিক করুন।

শিরোনাম-সূচী

এই সূচীর সাহায্যে পাণ্ডুলিপির অন্তর্ভুক্ত সব রচনার হদিশ পাওয়া যাবে।
১। আপনার অভীষ্ট রচনার শিরোনাম বাছুন: হয় বর্ণানুক্রমিক মেনুতে ক্লিক করে, অথবা বাঁদিকের ‘অন্বেষণ’-এর ঘরে শিরোনামটি লিখে।
২। শিরোনামের বিবরণসূচী পেয়ে গেলে, অভীষ্ট পাণ্ডুলিপি-সংখ্যায় ক্লিক করে সেই পাণ্ডুলিপিতে ওই রচনার ছবি ও প্রতিলিপি দেখুন। সঞ্চালনের উপায় ও শর্টকাটের জন্য উপরে দেখুন।

পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি

এখানে ক্লিক করেও পাণ্ডুলিপি-সারণিতে পৌঁছে, সেখান থেকে পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি খোলা যায়।

 

সংগ্রহ: পুস্তক ও পত্রিকা-পাঠ

এই অংশে আমাদের প্রাপ্ত সব মুদ্রিত বই ও পত্রিকার ছবি দেখা যাবে।
১। রচনাগুলি দুটি মূল ভাগে ভাগ করা হয়েছে, বাংলাইংরেজি
২। প্রত্যেক ভাগ এই কটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়েছে:

৩। ওয়েবসাইটে যথাযোগ্য রচনাশ্রেণী সংক্রান্ত পাতায় পৌঁছে, তারপর বর্ণানুক্রমিক সারণিতে ক্লিক করে অথবা পাতার বাঁদিকে ‘অন্বেষণ’ চিহ্নিত ঘরে শিরোনাম টাইপ করে, আপনার অভীষ্ট রচনা ও পাঠ বাছুন।
৪। সেই পাঠের শিরোনামে ক্লিক করে তার ছবি দেখুন। পাতায় সঞ্চালন (navigation)-এর দুটি উপায় আছে:

৫। এই পাতা ও সারণি মূলত সম্পূর্ণ পুস্তকাকারে প্রকাশিত পাঠ দেখার জন্য। তবে কোনও বিশেষ গল্পের পত্রিকাপাঠ ‘গল্প’-এ ক্লিক করে দেখা যাবে। বিশেষ কবিতা, গান বা প্রবন্ধ দেখা যাবে ‘রচনাবলী’ অংশে, ওই কবিতা বা প্রবন্ধ যে গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল তার সঙ্গে যুক্ত ‘পত্রিকা’ (Journals) ঘর টিপে। তবে কোনও ছোট রচনা দেখতে গেলে ‘রচনাসূচী’ অংশের সারণি মারফৎ দেখাই ভালো। সেখানে রচনাটি সম্বন্ধে কিছু বাড়তি তথ্যও পাওয়া যাবে।
৬। ছবি দেখার সময় সঞ্চালন (navigation)-এর জন্য এই উপায়গুলি ব্যবহার করতে পারেন:

কীবোর্ডশর্টকাটগুলি
Homeপ্রথম পৃষ্ঠা দেখুন
Endশেষ পৃষ্ঠা দেখুন
Backspaceআগের পৃষ্ঠা দেখুন
Enterপরের পৃষ্ঠা দেখুন
↑ (উর্ধ্বতীর)পৃষ্ঠার উপরে চলে যান
↓ (নিম্নতীর)পৃষ্ঠার নীচে চলে যান
← (বামমুখী তীর)পৃষ্ঠার বাঁদিকে চলে যান
→ (দক্ষিণমুখী তীর)পৃষ্ঠার ডানদিকে চলে যান
+বড় করে দেখুন (zoom in)
-ছোট করে দেখুন (zoom out)

রচনা-সূচী

মেনু বার থেকে প্রথমে ভাষা বাছুন (বাংলা বা ইংরেজি), তারপর আপনার অভীষ্ট রচনাশ্রেণী (কবিতা ও গান, নাটক ইত্যাদি)। প্রত্যেক শ্রেণীর রচনা-সূচী দুই ভাবে পরিবেশিত হয়েছে:

(ক) বর্ণানুক্রমিক ভাগ

১। এখানে দুই উপায়ে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন:
ক। প্রথম পাতা থেকে আপনার প্রয়োজনীয় অক্ষরটি বেছে ক্লিক করে সেই আদ্যাক্ষরের শিরোনাম-সারণি খুলুন। তারপর  থেকে অভীষ্ট রচনার শিরোনাম ক্লিক করলে, সেই রচনার সম্পূর্ণ গ্রন্থ-পরিচয় একটি পপ-আপ জানলায় দেখা যাবে।
খ। ‘অন্বেষণ’-এর ঘরে আপনার অভীষ্ট রচনার শিরোনাম টাইপ ও ক্লিক করে শিরোনাম-সারণি খুলুন, তারপর অভীষ্ট রচনার শিরোনাম ক্লিক করুন।
২। কবিতা ও গানের তালিকা প্রথমে শিরোনাম অনুসারে দেখা যাবে। বাঁদিকের রেডিও-বাটন ব্যবহার করে (ক) প্রথম ছত্র অনুসারে, বা (খ) রচনাবলী-র ক্রম অনুসারে দেখতে পাবেন। প্রবন্ধের ক্ষেত্রে রেডিও-বাটন ব্যবহার করে রচনাবলী-র ক্রম অনুসারে দেখতে পাবেন।
৪। গ্রন্থ-পরিচয়ের পপ-আপ জানলায় কোনো পাঠের নির্দেশ কালোয় লেখা থাকলে বুঝতে হবে, সেই পাঠটি ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। লালে লেখার অর্থ, সেটি পাওয়া যায়নি।
দ্র: আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে, রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক দফা মুদ্রিত পুস্তক ও পত্রিকার পাঠ পাওয়া যায়নি। অন্যান্য সহযোগীদের আনুকূল্যে, তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু কিছু ফাঁক পূরণ করা যায়নি।

(খ) সম্পূর্ণ তালিকা

এই ভাগে ওই শ্রেণীর সব রচনার বিবরণ একটি সারণিতে দেখা যাবে। সারণির বিভিন্ন ঘরে এই চিহ্নগুলি ব্যবহার হয়েছে:

(গ) অন্যান্য সূচী

বাংলা রচনাসূচীর প্রত্যেক শ্রেণীর একটি তৃতীয় ভাগ আছে, ‘অন্যান্য সূচী’। মূল রচনাসূচীতে সব রচনা বিশ্বভারতী রচনাবলীতে দৃষ্ট শিরোনাম অনুসারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

কোনো রচনার বিকল্প বা অতিরিক্ত শিরোনাম থাকলে (যেমন ‘দূর হতে কী শুনিস’ কবিতার শিরোনাম ‘ঝড়ের খেয়া’, বা ‘হে মোর চিত্ত’ কবিতার শিরোনাম ‘ভারত-তীর্থ’), সেটি এই তালিকার সাহায্যে দেখা যেতে পারে।

পি.সি-তে CTL+F বা ম্যাক-এ CMD+F টিপুন। তাতে যে বাক্সটি খুলে যাবে, তাতে যে বিকল্প শিরোনাম আপনি খুঁজছেন সেটি লিখে দিলে, সেই শিরোনামটি নির্দিষ্ট হবে।

বাংলা 'গল্প ও উপন্যাস'-এর ক্ষেত্রে ছোট গল্পের সংকলনগুলির একটি পূর্ণাঙ্গ সূচীও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

(ঘ) কালানুক্রমিক সূচী

বাংলা রচনাসূচীতে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনার (মাস ও সাল অনুসারে) বা স্বতন্ত্র গ্রন্থের (সাল অনুসারে) প্রকাশের কালানুক্রমিক সূচী দেখা যাবে। এই সূচীটি দুই ভাবে দেখা যাবে।

  দ্র: আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে, রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক দফা মুদ্রিত পুস্তক ও পত্রিকার পাঠ পাওয়া যায়নি। অন্যান্য সহযোগীদের আনুকূল্যে, তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু কিছু ফাঁক পূরণ করা যায়নি।

  কোনও রচনার গ্রন্থ-পরিচয় ও ছবি দেখতে ‘বর্ণানুক্রমিক ভাগ’ দেখুন।  সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ‘সম্পূর্ণ তালিকা’ দেখুন।


অন্বেষণ

অন্তর্ভুক্তি

অন্বেষণ-যন্ত্রে কেবল এই পাঠগুলিই পাওয়া যাবে:
বাংলা: বিশ্বভারতী প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলী-র পাঠ (৩২ খণ্ড + ২ খণ্ড অচলিত সংগ্রহ) ও ১৩৮০র গীতবিতানের পাঠ
ইংরেজি:

ব্যবহারবিধি

১। যে শ্রেণীর রচনায় খুঁজতে চান (সমগ্র রচনা, কবিতা ও গান, নাটক ইত্যাদি), সেটি ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে বাছুন।
২। এই অংশের প্রথম পাতায় নির্দিষ্ট ঘরে আপনার প্রয়োজনীয় শব্দ বা বাক্যাংশ টাইপ করুন। বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে হয় বাংলায় টাইপ করুন, নয়তো ইংরেজি অক্ষরে টাইপ করে Enter বা স্পেস বার টিপুন। ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রে প্রথমে CTL+M টিপে তারপর টাইপ করুন।
৩। ওই শব্দ বা বাক্যাংশ সম্বলিত সব পাঠ্যাংশ সূত্র সমেত দেখা যাবে, এক-এক বার ১০টি করে। কোনও শিরোনামে ক্লিক করলে, সেই রচনার সম্পূর্ণ পাঠ একটি নতুন জানলায় দেখা যাবে।
৪। এবার পি-সির ক্ষেত্রে CTL+F ও ম্যাক-এর ক্ষেত্রে CMD+F টিপে উপরে ডান দিকে যে ঘর খুলে যাবে, সেখানে শব্দ বা বাক্যাংশটি উপরের পদ্ধতি অনুসারে টাইপ করুন। বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে হয় বাংলা হরফে টাইপ করুন, নয় আগের পাতার ঘর থেকে ‘কাট-অ্যাণ্ড-পেস্ট’ করে ঘর পূরণ করুন: ইংরেজি হরফে টাইপ করবেন না। (ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রে প্রথমে CTL+M টিপে তারপর টাইপ করুন।) শব্দ বা বাক্যাংশটি রচনার সম্পূর্ণ পাঠের মধ্যে রঙিন হয়ে চিহ্নিত অর্থাৎ ‘হাইলাইটেড’ হবে।

 

পাঠান্তর

ত্রিস্তর পাঠান্তর-নির্ণয়

আমাদের পাঠান্তর-নির্ণয় সফটওয়ার ‘প্রভেদ’ তিন স্তরে পাঠান্তর নির্ণয় করে: অংশ (section) ও উপাংশ (segment) সম্বলিত বৃহৎ বা gross collation, এবং শব্দের স্তরে সূক্ষ্ম বা fine collation.

    দ্র: প্রভেদ প্রয়োগের জন্য যেভাবে একটি দীর্ঘ রচনা ভাগ করতে হয়, তাতে মাঝে-মাঝে একই অংশের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে এক লাইন ফাঁক থাকলে (যথা, গদ্যরচনার মধ্যে অবস্থিত কোনও কবিতার বিভিন্ন স্তবকের মধ্যে) প্রত্যেকটি ভাগ একটি আলাদা অংশ হিসাবে গণ্য হতে পারে।

     স্তবকে বিভক্ত নয় এমন ছোট কবিতা বা গান একটি উপাংশ হিসাবেই দেখানো হবে, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে অংশ ও উপাংশ একই হবে।

প্রভেদ ব্যবহার-প্রণালী

দ্র: সফটওয়ার প্রয়োগের স্বার্থে এই অংশের সব শিরোনাম, ফলাফল (results বা output) ইত্যাদি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে।
১। প্রথম পাতায় মেনু বারে ‘পাঠান্তর’, তারপর আপনার অভীষ্ট রচনাশ্রেণী ক্লিক করুন। রচনাসূচীর সারণি খুলে যাবে।
২। সেই সারণির বাঁদিকের সারিতে পাঠান্তরের
 
চিত্রচিহ্নে  ক্লিক করুন। এবার ‘অংশ’ স্তরে পাঠান্তরের চিত্র পরিবেশিত হবে।

অংশ-স্তরে পাঠান্তর

১। অংশ-স্তরের পাঠান্তর দেখানো হবে কতগুলি রঙিন ডোরার মাধ্যমে। এক-একটি ডোরা রচনার এক-একটি পাঠ বা সংস্করণ বোঝাচ্ছে। প্রত্যেক ডোরা একটি আলাদা রঙের।
এক-একটি ডোরার ছোট-ছোট ভাগগুলি বোঝাচ্ছে সেই পাঠ বা সংস্করণের এক-একটি অংশ (পরিচ্ছেদ, দৃশ্য, সর্গ ইত্যাদি)। দেখার সুবিধার জন্য এই ভাগগুলির মধ্যে গাঢ় ও হালকা রঙের পার্থক্য রয়েছে। আয়তনের অনুপাতে ভাগগুলি চওড়া বা সরু।
একটি ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ, যার মধ্যে কোনও অংশের ভাগ নেই, সবটাই একটিমাত্র অংশ হিসাবে দেখানো হবে: অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ডোরাটিতে কোনও গাঢ়-হালকা ভাগ থাকবে না, সবটাই এক রঙে দেখা যাবে।
অংশগুলির ক্রমিক সংখ্যা ০ থেকে শুরু। অর্থাৎ 1316/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬র সংস্করণের প্রথম অংশ। 1316/1 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয় অংশ।
২। যে পাঠটি ভিত্তি-পাঠ (base text) হিসাবে ধরে অন্যগুলির সঙ্গে তুলনা করতে চান, সেটির সূচক ডোরার উপর মাউস নিয়ে যান। সেই ডোরাটি বিশেষ ভাবে চিহ্নিত (highlighted) হবে।
৩। এবার যে অংশটির তুলনা করতে চান, ওই ডোরায় সেই অংশের সূচক ভাগটি ক্লিক করুন। অন্যান্য পাঠে অর্থাৎ ডোরাগুলিতে তার সঙ্গে মিলে-যাওয়া অংশগুলির নীচে লাল দাগ দেখা যাবে। অংশ-সংখ্যা দেখা যাবে উপরে ডান দিকের কোনে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া অংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই অংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। নীচের এই তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠ সংখ্যায় ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে উপাংশ মেলাবার জানালা খুলে যাবে।
৬। নীচে অন্য কোনও পাঠে ক্লিক করলে ডান দিকে একটি ঘর খুলে যাবে, যাতে ভিত্তি-পাঠ এবং এই নির্বাচিত পাঠ দুটির উপাংশগুলির মিল-অমিল রং মিলিয়ে দেখানো হবে। মিলে-যাওয়া উপাংশগুলি ছাই-রঙের ডোরা দিয়ে যুক্ত থাকবে।

উপাংশ-স্তরে পাঠান্তর

১। উপাংশ-স্তরে পাঠান্তরে মোটামুটি অংশ-স্তরে পাঠান্তরের মত করেই দেখা যাবে।
২। উপরের ৫ নম্বর নির্দেশমত উপাংশ স্থরের পাতাটি খুলুন। আপনার পূর্বনির্বাচিত ভিত্তি-পাঠের নির্বাচিত অংশ বোঝাতে একটি রঙিন ডোরা দেখতে পাবেন। তাতে ক্লিক করলে আরও কতগুলি রঙিন ডোরা দেখবেন, যা অন্যান্য পাঠ বা সংস্করণে মিলে-যাওয়া অংশটি বোঝাচ্ছে।
এক-একটি ডোরার ছোট-ছোট ভাগগুলি বোঝাচ্ছে সেই পাঠ বা সংস্করণে ওই অংশের এক-একটি উপাংশ (অনুচ্ছেদ, উক্তি, স্তবক ইত্যাদি)। সম্পূর্ণ রচনার মধ্যে ওই উপাংশের আয়তনের অনুপাতে ভাগগুলি চওড়া বা সরু।
একটি ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ, যার মধ্যে কোনও উপাংশের ভাগ নেই, সবটাই একটিমাত্র উপাংশ হিসাবে দেখানো হবে: অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ডোরাটিতে কোনও গাঢ়-হালকা ভাগ থাকবে না, সবটাই এক রঙে দেখা যাবে।
উপাংশগুলির ক্রমিক সংখ্যা ০ থেকে শুরু। অর্থাৎ 1316/0/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬র সংস্করণের প্রথম অংশের প্রথম উপাংশ। 1316/1/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয়  অংশের প্রথম উপাংশ। 1316/1/1 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয় অংশের দ্বিতীয় উপাংশ।
৩। এবার ভিত্তি-পাঠ নির্ধারক উপরের ডোরার যে উপাংশটি আপনি মেলাতে চান, সেটির নির্ধারক রঙিন ভাগে ক্লিক করুন। অন্যান্য পাঠে অর্থাৎ ডোরাগুলিতে তার সঙ্গে মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির নীচে লাল দাগ দেখা যাবে। উপাংশ-সংখ্যা দেখা যাবে উপরে ডান দিকের মার্জিনে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই উপাংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। উপরে ডান দিকে Grid view-এ ক্লিক করলে মিল-অমিলের শতাংশভিত্তিক হিসাব সারণির আকারে দেখতে পাবেন। এখানে বাঁদিকের প্রথম সারিতে ভিত্তি-পাঠের উপাংশ-সংখ্যাগুলি দেওয়া আছে। পরের সারিগুলিতে অন্যান্য পাঠ বা সংস্করণে তুল্য উপাংশগুলির মিল দেখানো আছে, শতাংশের হিসাবে।  উপাংশ-স্তরের আগের পাতার নীচের ক্রম অনুসারে এই পাঠ বা সংস্করণগুলি ১, ২, ৩ বলে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
৬। নীচের তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠে ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে এই উপাংশের প্রতিটি শব্দ মিলিয়ে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’ (fine collation) মেলাবার জানালা খুলে যাবে।

শব্দ-স্তরে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’

১। নির্বাচিত উপাংশের শব্দ-স্তরে পাঠান্তর দেখানো হবে চার ভাগে ভাগ করা একটি পাতায়। পাতার মাথায় ওই অংশ ও উপাংশের সংখ্যা দেখা যাবে। তার সঙ্গে অন্য যে পাঠ বা সংস্করণগুলি মেলানো হচ্ছে, সেগুলির অংশ ও উপাংশের সংখ্যা উপরে বাঁদিকে একটি সারণিতে দেখা যাবে।
২। উপরের বাঁদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ দেখা যাবে।
৩। নীচের বাঁদিকের ভাগে আপনার নির্বাচিত অন্য যে-কোনও পাঠ বা সংস্করণে সমতুল্য উপাংশের পাঠ দেখা যাবে। সেটি বাছতে উপরে বাঁদিকের সারণিতে ওই পাঠ বা সংস্করণ-সংখ্যায় ক্লিক করুন।
৪। উপরের ডানদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ আবার দেখা যাবে। তাতে মিল-অমিল বোঝাতে চারটি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে:

৫। বিন্দুর অর্থ, ওই স্থানে বর্তমান পাঠে কোনও শব্দ নেই কিন্তু অন্য এক বা একাধিক পাঠে আছে।

পাঠ বা সংস্করণের নাম

বিভিন্ন পাঠ বা সংস্করণগুলি এইভাবে নির্দিষ্ট হয়েছে:

মিলের শতাংশ-মাত্রা

শব্দে-শব্দে মিল
১ থেকে ৪ অক্ষরের শব্দ হলে, সব কটি অক্ষরচিহ্ন (character) মিললে তবেই মিল বলে গণ্য হচ্ছে। ৪-এর বেশি অক্ষরচিহ্ন থাকলে, বাড়তি প্রতিটি ১-৪ অক্ষরে একটি গরমিল মেনে নেওয়া হচ্ছে: অর্থাৎ ৫ থেকে ৮ অক্ষরচিহ্নের শব্দে একটি অক্ষরে গরমিল, ৯ থেকে ১২ অক্ষরচিহ্নের শব্দে দুটি অক্ষরে গরমিল, ইত্যাদি।
দ্র: অ-কার বাদে সব স্বরবর্ণ-চিহ্ন একটি স্বতন্ত্র অক্ষরচিহ্ন হিসাবে ধরা হয়েছে। যুক্তাক্ষরের প্রত্যেকটি উপাদানও একটি স্বতন্ত্র অক্ষরচিহ্ন হিসাবে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ ‘কাল’ শব্দে আছে ৩টি অক্ষরচিহ্ন, ‘বর্ষা’ শব্দে ৪টি অক্ষরচিহ্ন, ‘নম্রতা’ শব্দে ৫টি অক্ষরচিহ্ন, ‘রবীন্দ্রনাথ’ শব্দে ৯টি অক্ষরচিহ্ন।
অংশ ও উপাংশের মিল
১। সাধারণভাবে দুটি অংশ বা উপাংশের মধ্যে উভয় দিক দিয়ে গুনে অন্তত ৬০% মিল পেলে সে অংশ বা উপাংশ দুটিতে মিল আছে বলে গণ্য হচ্ছে।
২। যদি কোথাও এক পাঠের একটি বড় অংশ বা উপাংশ অপর পাঠে দুই বা ততোধিক ছোট অংশ বা উপাংশে ভাগ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এই হিসাব মিলবে না। অতএব কেবল এক দিকে ৬০%+ মিল পেলে, অন্য দিক থেকে tension count করে ১৫%-এর অধিক মিল পেলেই অংশ বা উপাংশ দুটির মধ্যে মিল দেখানো হচ্ছে।
৩। এর ফলে অবশ্য কিছু-কিছু ভুল মিলও দেখা যাবে, কারণ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অংশ বা উপাংশের মধ্যেও দৈবাৎ ১৫%+ মিল ঘটতে পারে। এটি সচরাচর ঘটবে এক বা খুব অল্প কয়েকটি শব্দ-সম্বলিত উপাংশের ক্ষেত্রে। অতএব ৩০-৩৫%-এর নীচে কোনও মিল গ্রহণ করার আগে পাঠটি দেখে নেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন –- বিশেষ করে যদি পাশাপাশি ৬০%-এর বেশি আরেকটি মিলও দেখানো থাকে।
৪। মাঝে-মাঝে, একটি শব্দ বা বাক্যাংশ বারবার পাওয়া যায় – যেমন নাটকে ‘প্রস্থান’ ইত্যাদি মঞ্চনির্দেশে বা কবিতার ধুয়াতে। এর ফলে একই পাঠের মধ্যে বারবার ৮৫%+ এমনকী ১০০% মিল পাওয়া যেতে পারে। এই সঠিক কিন্তু বিভ্রান্তিকর মিলের সংখ্যা সীমিত রাখার জন্য, বারবার এমন মিল পাওয়া গেলে প্রত্যেক অংশে কেবল প্রথম নজিরটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য, কোনও অংশ বা উপাংশে মাত্র একবার ৮৫%+ মিল পেলে সেটি সর্বদাই গণ্য হয়েছে, কারণ ধরে নেওয়া যায় সেটি যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ মিল।