এই ওয়েবসাইটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যরচনা পাওয়া যাবে। বিশ্বভারতী রবীন্দ্র-রচনাবলীর প্রচলন অনুসারে সেগুলি চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে: কবিতা ও গান, নাটক, উপন্যাস ও গল্প, এবং প্রবন্ধ। পাঠগুলি নিম্নলিখিত সূত্র থেকে গৃহীত হয়েছে:
শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র-ভবনে রক্ষিত সব পাণ্ডুলিপি, এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুটন গ্রন্থাগারের রোথেনস্টাইন সংগ্রহের সব ইংরেজি পাণ্ডুলিপি। এই সব পাণ্ডুলিপি থেকে প্রাপ্ত, উপরোক্ত চার শ্রেণীর প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সব রচনার সব পাঠ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের স্বহস্তে লেখা নয়, এমন পাণ্ডুলিপিগুলিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই বিচারে, যে এই দুটি সংগ্রহের সব পাণ্ডুলিপিই কোনও-না-কোনও বিচারে প্রণিধানযোগ্য।
বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র-রচনাবলী-র ৩২শ খণ্ডের কিছু কবিতা ও প্রবন্ধ এখনও অন্তুর্ভুক্ত হয়নি, অচিরেই হবে।
সাহিত্য অকাদেমি প্রকাশিত The English Writings of Rabindranath Tagore-এর ৪ খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত সব রচনা, নিম্নলিখিত কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। তবে এই সংকলনের পাঠ অন্তর্ভুক্ত হয়নি, পাঠগুলি গৃহীত হয়েছে নিম্নলিখিত অন্য সূত্র থেকে।
উপরোক্ত রচনা-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন বহু বাংলা ও ইংরেজি রচনা -- পত্রিকা, সংকলন ইত্যাদি সূত্র থেকে। কোনও সংকলনে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্য লেখকের রচনা থাকলে, কেবলমাত্র রবীন্দ্রনাথের রচনাগুলিই গৃহীত হয়েছে।
স্ফুলিঙ্গ ও লেখন-এর পুস্তকরূপে প্রকাশের নিদর্শনগুলি রচনাসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার ছবিও প্রাপ্ত হলে পরিবেশিত হয়েছে। পত্রিকাপাঠ অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাওয়া যায়নি বলে কোনোটিই অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পাণ্ডুলিপি-পাঠগুলি পাণ্ডুলিপির শিরোনাম-সূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখান থেকে ক্লিক করে ছবিগুলিও দেখা যাবে।
Stray Birds, Fireflies ও Thought Relics-এর পুস্তকরূপে প্রকাশের নিদর্শনগুলি রচনাসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার ছবি প্রাপ্ত হলে পরিবেশিত হয়েছে। পত্রিকাপাঠ রচনাসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, কিন্তু তার ছবি পরিবেশন করা সম্ভব হয়নি। পাণ্ডুলিপি পাঠগুলি পাণ্ডুলিপির শিরোনাম-সূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখান থেকে ক্লিক করে ছবিগুলিও দেখা যাবে।
চিঠিপত্র, যদি না তা রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় কোনও সাহিত্যগ্রন্থে বা অনুরূপ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়ে থাকে, যথা ছিন্নপত্র/ছিন্নপত্রাবলী, ভানুসিংহের পত্রাবলী, Letters to a Friend, পত্রাকারে রচিত কিছু ভ্রমণবৃত্তান্ত ইত্যাদি।
বক্তৃতা, যদি না তা প্রবন্ধের রূপ ধারণ করে বা পরবর্তীকালে প্রবন্ধ হিসাবে মুদ্রিত হয়। এই বিচার সব সময় সহজ নয়: অনিশ্চয়তা থাকলে রচনাটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অতএব পুস্তিকা হিসাবে, সভাস্থলে বিতরণের জন্য মুদ্রিত কিছু বক্তৃতা অন্তুর্ভুক্ত হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তক। একমাত্র ব্যতিক্রম সহজ পাঠ, বইটির গুরুত্ব বিবেচনা করে।
গ্রন্থ-সমালোচনা, যদি না তা প্রবন্ধের রূপ ধারণ করে বা পরবর্তীকালে প্রবন্ধ হিসাবে মুদ্রিত হয়।
নিজের রচনার ইংরেজি অনুবাদ বাদে রবীন্দ্র-কৃত অনুবাদ।
অপরের দ্বারা রবীন্দ্র-রচনার অনুবাদ। এই বিচারে রবীন্দ্রনাথের নামে প্রকাশিত কিন্তু রবীন্দ্র-কৃত নয়, এমন কিছু গ্রন্থ বাদ গেছে, যেমন The Post Office বা The King of the Dark Chamber। একমাত্র ব্যতিক্রম Crisis in Civilization,রচনাটির বিশেষ গুরুত্ব বিবেচনা করে।
পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া নোট, মন্তব্য, চিঠি, হিসাব, অন্যের রচনার প্রতিলিপি প্রভৃতি। তবে পাণ্ডুলিপির এই অংশগুলির ছবি, সমগ্র পাণ্ডুলিপির অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
যে বাংলা রচনাগুলি কেবল পাণ্ডুলিপি এবং/অথবা পত্রিকায় পাওয়া যায়, সেগুলি রচনাসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, ছবি ও প্রতিলিপি পরিবেশন বা পাঠান্তর-নির্ণয়ও হয়নি। এগুলি যথাসম্ভব শীঘ্র অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই রচনাগুলির তালিকা রচনাসূচীর নির্দেশাবলীতে দেওয়া হয়েছে।
যে ইংরেজি রচনাগুলি কেবল পাণ্ডুলিপি ও পত্রিকায় পাওয়া যায়, সেগুলি রচনাসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার ছবিও প্রাপ্ত হলে প্রতিলিপিসহ পরিবেশিত হয়েছে এবং পাঠান্তর নির্ণীত করা হয়েছে।
যে ইংরেজি রচনাগুলি কেবল পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া যায়, সেগুলি পাণ্ডুলিপির শিরোনাম-সূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখান থেকে ক্লিক করে ছবিগুলি ও প্রতিলিপি দেখা যাবে।
এ ছাড়া বিশদ রচনাসূচী (Master List) থেকেও সব ইংরেজি রচনার পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যাবে।
প্রত্যেক রচনার নিম্নলিখিত পাঠরূপ ও সংস্করণগুলি প্রাপ্তব্য হলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এগুলির সন্ধান পাওয়া এবং ছবি তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। রবীন্দ্র-ভবন সংগ্রহের সব পাণ্ডুলিপি ও অধিকাংশ মুদ্রিত গ্রন্থ ও পত্রিকার বৈদ্যুতিন ছবি সরবরাহের জন্য আমরা রবীন্দ্র-ভবন, রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউণ্ডেশন ও সি-ড্যাক-এর কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আর কৃতজ্ঞ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুটন গ্রন্থাগারের কাছে, তাঁদের রোথেনস্টাইন সংগ্রহের সব রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপির ছবি সরবরাহের জন্য।
আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক কিস্তি ছবি (মুদ্রিত বই ও পত্রিকা থেকে) পাওয়া যায় নি। অন্য সহযোগী সংস্থার আনুকূল্যে তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যথাসাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ঘাটতি থেকে গেছে, সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
মুদ্রিত বইয়ের ক্ষেত্রে সব সংস্করণের প্রথম মুদ্রণ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম মুদ্রণ না পাওয়া গেলে পরবর্তী মুদ্রণ ব্যবহার করা হয়নি।
এই ব্যতিক্রম সাপেক্ষে নিম্নলিখিত সূত্র থেকে পাঠরূপ ও সংস্করণ গৃহীত হয়েছে:
সব পাণ্ডুলিপি
পত্রিকাপাঠ (অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথম মুদ্রিত পাঠ)
পুস্তকাকারে বা পুস্তকাকার সংকলনে প্রথম প্রকাশ
ব্রহ্মচর্য-আশ্রম, শান্তিনিকেতন প্রেস বা বিশ্বভারতী প্রকাশিত প্রথম সংস্করণ
বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র-রচনাবলী-র প্রধান ৩২ খণ্ড ও অচলিত-সংগ্রহের ২ খণ্ড
কাব্যগ্রন্থাবলী (১৩০৩), কাব্য-গ্রন্থ (১৩১০), রবীন্দ্র-গ্রন্থাবলী (১৩১১), গদ্যগ্রন্থাবলী (১৩১৪-১৫), কাব্যগ্রন্থ (১৩২৩)। গীতবিতান (১৩৩৮-৯, ১৩৪৮, ১৩৮০) প্রভৃতি কিছু আদি সংকলন
পাঠগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ অন্য সংস্করণ
রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় অপ্রকাশিত রচনার ক্ষেত্রে, তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম মুদ্রিত পাঠ
চয়নিকা ও সঞ্চয়িতা-য় গৃহীত প্রথম পাঠ: অর্থাৎ ওই দুটি সংকলনের দ্বিতীয় বা পরবর্তী সংস্করণের ক্ষেত্রে কেবল যে কবিতাগুলি নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
স্বরলিপি-সম্বলিত গানের ক্ষেত্রে কেবল গানের বাণী। সুর বা গায়কীর জন্য শব্দের পুনরাবৃত্তি বা স্থানান্তর ঘটলে তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এখানে প্রায়ই বিচারের প্রশ্ন ওঠে। পাণ্ডুলিপি প্রতিলিপিতে অবশ্য পুনরাবৃত্তি রক্ষিত হয়েছে।
অন্বেষণ-যন্ত্রে কেবল এই পাঠগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে:
বাংলা:
বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র-রচনাবলী-র প্রধান ৩২ খণ্ড, অচলিত-সংগ্রহের ২ খণ্ড ও ১৩৮০র গীতবিতানে প্রাপ্ত পাঠ
ইংরেজি:
সাহিত্য অকাদেমি প্রকাশিত The English Writings of Rabindranath Tagore-এ অন্তর্ভুক্ত রচনার ক্ষেত্রে যে মূল পাঠটি ওই সংকলনে ব্যবহৃত হয়েছে (English Writings-এর পাঠ নয়)
ওই রচনাবলীতে অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন রচনার ক্ষেত্রে প্রথম যে মুদ্রিত পাঠটি আমরা পেয়েছি
পাঠান্তর-নির্ণয়ের জন্য প্রত্যেক রচনার সব মুদ্রিত পাঠ ও এই প্রক্রিয়ার উপযুক্ত সব পাণ্ডুলিপি-পাঠ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। হয়নি এইগুলি:
অবিন্যস্ত পাণ্ডুলিপি-পাঠ, যা থেকে পাঠের ক্রম সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায় না
পূর্বগৃহীত কোনও পাণ্ডুলিপি বা টাইপ-করা কপির কাছাকাছি পাঠের অন্য নিদর্শন। এ ক্ষেত্রে অল্প সংখ্যক উল্লেখযোগ্য পাঠান্তর থাকলে তা ‘’ হিসাবে টীকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোনও বড় রচনার খুব ক্ষুদ্র অংশ
স্ফুলিঙ্গ, লেখন, Stray Birds, Fireflies প্রভৃতি কিছু গ্রন্থের ক্ষুদ্র কবিতা, যা প্রায়ই অনেকগুলি পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া যায়। এগুলির পাঠান্তর কম্পিউটারে নির্ণীত হলে বোঝার অসুবিধা হতে পারে, চোখে পড়ে মিলিয়ে নেওয়াই সুবিধাজনক।
বাংলা হরফ ও যুক্তাক্ষর লিপ্যয়নের জন্য ‘অভ্র’ কীবোর্ড প্রণালী ব্যবহৃত হয়েছে। পাঠকদের এই সফ্টওয়ারটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে ‘অভ্র’-র পদ্ধতি অনুসারে ইংরেজি হরফে বাংলা শব্দ লিখে তা বাংলায় রূপান্তরিত করা যায়। ওয়েবসাইটে যথাস্থানে তার নির্দেশ দেওয়া আছে।
গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রভৃতি যে-কোনও প্রচলিত ব্রাউজার, যথাসম্ভব সাম্প্রতিক সংস্করণে। মজিলা ফায়ারফক্স-এ বাংলা হরফ সঠিকভাবে দেখতে মাঝে-মাঝে সমস্যা হতে পারে। সব ব্রাউজারেই জাভাস্ক্রিপ্ট প্রয়োগের ব্যবস্থা থাকা উচিত।
বাংলা হরফ পড়ার জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থার দরকার নেই। কিন্ত যেহেতু এই ওয়েবসাইটের নিজস্ব বাংলা লিপ্যন্তরে অভ্র প্রণালী ব্যবহার হয়েছে, ওই প্রণালীর সঙ্গে পরিচিতি থাকলে সুবিধা হবে।
সব পাণ্ডুলিপি, মুদ্রিত বই ও পত্রিকার ছবি ছাড়াও, প্রত্যেকটির পাঠের প্রতিলিপি পরিবেশিত হয়েছে, .txt UTF-8 format-এ। এগুলি দেখতে গেলে ‘রচনাসূচী: সম্পূর্ণ তালিকা’ অথবা ‘পাঠান্তর’ অংশের সারণিতে
চিত্রচিহ্নে ক্লিক করুন। পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি সবসময়েই ছবির ডান পাশে দেখা যাবে।
সারণিতে পাঠের পাশে
বা
চিত্রচিহ্ন না থাকলে বুঝতে হবে, সেই পাঠটি পাওয়া যায়নি।
পাঠকের সুবিধার জন্য এবং পাঠান্তর-প্রণালীর স্বার্থে সব পাঠের প্রতিলিপিতে কিছু সাধারণ নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে কখনও-কখনও মূল পাণ্ডুলিপি বা বইয়ের বিন্যাস সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। মূল বিন্যাস ছবি দেখলে বোঝা যাবে।
মুদ্রিত বইয়ের গোড়ায় বা শেষে পেশ করা তথ্যের – নামপত্র, উৎসর্গ, সূচী, পুষ্পিকা ইত্যাদি – প্রায়শ প্রতিলিপি করা হয়নি, কারণ তাতে পাঠান্তর-প্রণালীতে অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
পংক্তি, স্তবক, সংলাপ ইত্যাদির মধ্যবর্তী ফাঁক:
কবিতার দুই স্তবকের মধ্যে এক লাইন ফাঁক রাখা হয়েছে, কিন্তু গদ্যে দুই অনুচ্ছেদের মধ্যে রাখা হয়নি। স্তবক-ভাগ স্পষ্ট না হলে আমাদের বিচারমত ভাগ করা হয়েছে।
কোনও নাটকে গদ্য ও পদ্য উভয় ধরণের সংলাপ থাকলে, সংলাপের প্রত্যেক অংশের মধ্যে এক লাইন ফাঁক রাখা হয়েছে, কিন্তু গদ্য নাটকের ক্ষেত্রে হয়নি। পাঠান্তর-প্রণালীর স্বার্থে এই ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়েছে।
শিরোনাম, নির্দেশিকা, মঞ্চনির্দেশ প্রভৃতির ক্ষেত্রে ফাঁকের ব্যবহার কখনও-কখনও পরিবর্তন করা হয়েছে। মূল বিন্যাস ছবি দেখলে বোঝা যাবে।
পংক্তির গোড়ায় বা মাঝখানে ফাঁক:
গদ্য-রচনায় সব অনুচ্ছেদ বাঁদিকের মার্জিন থেকে শুরু করা হয়েছে।
পদ্যের সব পংক্তি বাঁদিকের মার্জিন থেকে শুরু করা হয়েছে, মূলে মার্জিন থেকে কিছুটা ফাঁক রেখে ছাপা হলেও।
পদ্য-পংক্তিতে পর্বযতি বা মধ্যচ্ছেদ বোঝাতে হ্যাশ-চিহ্ন (#) ব্যবহৃত হয়েছে। পর্বযতির স্থান স্পষ্ট না হলে আমাদের বিচারমত ভাগ করা হয়েছে।
নাটকের মঞ্চনির্দেশ, বক্তার নাম প্রভৃতি:
নাটকের অঙ্ক ও দৃশ্য-সংখ্যা, দৃশ্যের শুরুতে স্থান-কালের উল্লেখ, উপস্থিত পাত্রপাত্রীদের নাম, মঞ্চ-নির্দেশ, সংলাপে বক্তার নাম ইত্যাদির প্রতিলিপিতে কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসৃত হয়েছে।
বক্তার নাম ও সংলাপের সূচনা সব সময় এক পংক্তিতে রাখা হয়েছে।
রচনার শেষে রচনার স্থান, তারিখ ও সময় সব সময় একই ভাবে বিন্যস্ত হয়েছে।
বৈদ্যুতিন ছবির পাঠোদ্ধারে সংশয় থাকলে, অনিশ্চিত পাঠটি « » বন্ধনীর মধ্যে রাখা হয়েছে।
সব মুদ্রণপ্রমাদ প্রতিলিপিতে বজায় রাখা হয়েছে, কিন্তু উল্টে-যাওয়া টাইপ সংশোধন করা হয়েছে।
এই প্রতিলিপিতে পাণ্ডুলিপির প্রথম থেকে শেষ পৃষ্ঠা পর-পর লিপ্যয়িত হয়েছে, পৃষ্ঠাগুলির বর্তমান ক্রম অনুসারে। বহু ক্ষেত্রে কোনও রচনার বিভিন্ন অংশ পাণ্ডুলিপির নানা স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো আছে, সুতরাং এই প্রতিলিপি থেকে একটি বিশেষ রচনার সুসংবদ্ধ পাঠোদ্ধার সহজ না-ও হতে পারে। এই প্রতিলিপির প্রধান উদ্দেশ্য হস্তলিপি-উদ্ধার, বর্জন-সংযোজন ইত্যাদি বুঝতে সাহায্য করা, ও লেখকের সৃষ্টির প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট করা। সেজন্য এই প্রতিলিপি পাণ্ডুলিপির ছবির পাশে প্রদর্শিত হয়েছে। বর্জন-সংযোজন ইত্যাদি বোঝাতে নিম্নের চিহ্নগুলি ব্যবহৃত হয়েছে।
আমাদের প্রস্তুত বিশেষ ‘ফিলটার সফটওয়ার’-এর সাহায্যে, সব বর্জন-সংযোজনের শেষে ওই পাণ্ডুলিপি অনুসারে রচনাটির চূড়ান্ত পাঠ উদ্ধার করে এই প্রতিলিপি প্রস্তুত হয়েছে।
বর্জিত অংশের পাঠোদ্ধার সম্ভব হলে তা প্রতিলিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
লিপিচিত্র বা ‘ডুডল’ তুলে ধরার কোনও চেষ্টা হয়নি। তার নীচেকার বর্জিত পাঠ উদ্ধার করা সম্ভব হলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
অনেক পাণ্ডুলিপিতে পৃষ্ঠাসংখ্যার একাধিক ক্রম আছে। প্রতিলিপিতে সবচেয়ে স্পষ্ট ও সুসংহত ক্রমটি অনুসৃত হয়েছে। তেমন কোনও ক্রম পাওয়া না গেলে একটি নতুন ক্রম ব্যবহার করা হয়েছে।
পৃষ্ঠাসংখ্যা বোঝাতে দুটি তারাচিহ্ন (**) ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও পৃষ্ঠায় সংখ্যা না থাকলে সাধারণ ক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়েছে।
পাণ্ডুলিপিতে প্রায়ই রচনার শিরোনামের উল্লেখ থাকে না। শিরোনামগুলি রচনাবলী থেকে, বা ক্ষেত্রবিশেষে অন্য মুদ্রিত সংস্করণ থেকে গৃহীত হয়েছে, আগে একটি তারাচিহ্ন (*) দেওয়া আছে।
মূল পাণ্ডুলিপিতে নেই, এমন কোনও টীকা, মন্তব্য, উল্লেখ ইত্যাদি তারাচিহ্ন (*) দিয়ে নির্দিষ্ট হয়েছে।
এক পাণ্ডুলিপিতে একই রচনার একাধিক খসড়া থাকলে সেগুলি *১, *২ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
য়, র, ড়, ঢ় প্রভৃতি অক্ষরে বিন্দু বাদ পড়ে থাকলে তা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিপ্যয়নে অন্যান্য ছোটখাটো ভ্রমত্রুটিও নীরবে সংশোধন করা হয়েছে। ভ্রম বা মুদ্রণপ্রমাদ রক্ষা করার সাধারণ নিয়মের এগুলি ব্যতিক্রম।
মার্জিনে কোনও টীকা, মন্তব্য, নির্দেশ প্রভৃতি থাকলে সেটি [~ ] চিহ্নের মধ্যে বসানো হয়েছে। মূল পাঠের যে অংশের পাশে সেটি বসানো আছে, পাঠের সেই অংশের গোড়ায় ও শেষে [~] চিহ্ন বসানো হয়েছে।
<⋏⋏> অথবা {⋏পাঠ⋏} অথবা <⋎⋎> অথবা {⋎পাঠ⋎}
রেখা, তীরচিহ্ন বা তারাচিহ্নের সাহায্যে কোনও ছোট পাঠ্যাংশ বাক্য/বাক্যাংশের) স্থানান্তর ঘটলে:
বাক্য/বাক্যাংশ নীচ থেকে উপরে উঠে এলে এই চিহ্ন:
যেখান থেকে বাক্য/বাক্যাংশ উপরে উঠে গেছে
<⋏⋏>
উপরে যেখানে বাক্য/বাক্যাংশ স্থানান্তরিত হচ্ছে
{⋏[বাক্য/বাক্যাংশ]⋏}
বাক্য/বাক্যাংশ উপর থেকে নীচে নেমে এলে এই চিহ্ন:
যেখান থেকে বাক্য/বাক্যাংশ নীচে নেমে গেছে
<⋎⋎>
নীচে যেখানে বাক্য/বাক্যাংশ স্থানান্তরিত হচ্ছে
{⋎[বাক্য/বাক্যাংশ]⋎}
নতুন অবস্থানে {⋏⋏} বা {⋎⋎} বন্ধনীর মধ্যে পাঠ্যাংশটি থাকবে; আদি অবস্থানে কেবল < > বন্ধনী থাকবে। একই পৃষ্ঠায় স্থানান্তরের একাধিক দৃষ্টান্ত থাকলে সেগুলি <⋏1⋏>, <⋏2⋏>, <⋏3⋏> হিসাবে চিহ্নিত হবে।
⋀ অথবা ⋁
কোনও বড় অংশ বা স্তবক নীচ থেকে উপরে উঠে এলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋀
কোনও বড় অংশ বা স্তবক উপর থেকে নীচে নেমে গেলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋁
এই সব ক্ষেত্রে, পাঠের আদি অবস্থানে কোনও চিহ্ন বসানো হয়নি।
∟
মূল পাণ্ডুলিপিতে ∟, খাড়া দাগ ইত্যাদি চিহ্ন দিয়ে স্তবক বা অনুচ্ছেদ ভাঙার ইঙ্গিত থাকলে, প্রতিলিপিতে পরের অংশটি নতুন স্তবক বা অনুচ্ছেদে বসানো হয়েছে, আগে ∟ চিহ্ন দিয়ে।
১। পাণ্ডুলিপি-সূচী ক্লিক করুন। সব পাণ্ডুলিপি ও তাদের অন্তর্ভুক্ত রচনার তালিকা-সম্বলিত একটি সারণি খুলে যাবে।
২। আপনার অভীষ্ট পাণ্ডুলিপি-সংখ্যার উপর ক্লিক করুন। পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপির পাতা খুলে যাবে। পাতায় সঞ্চালন (navigation)-এর দুটি উপায় আছে:
কীবোর্ডের সাহায্যে
টুলবারের সাহায্যে। উপরে ডানদিকের টুলবার-চিহ্নে ক্লিক করে টুলবার খুলুন।
৩। ছবি দেখার সময় এই কীবোর্ড শর্টকাটগুলি ব্যবহার করা যাবে:
কীবোর্ড
শর্টকাটগুলি
Home
প্রথম পৃষ্ঠা দেখুন
End
শেষ পৃষ্ঠা দেখুন
Backspace
আগের পৃষ্ঠা দেখুন
Enter
পরের পৃষ্ঠা দেখুন
↑ (উর্ধ্বতীর)
পৃষ্ঠার উপরে চলে যান
↓ (নিম্নতীর)
পৃষ্ঠার নীচে চলে যান
← (বামমুখী তীর)
পৃষ্ঠার বাঁদিকে চলে যান
→ (দক্ষিণমুখী তীর)
পৃষ্ঠার ডানদিকে চলে যান
+
বড় করে দেখুন (zoom in)
-
ছোট করে দেখুন (zoom out)
৪। প্রতিলিপি দেখার সময় এই কীবোর্ড শর্টকাটগুলি ব্যবহার করা যাবে:
কীবোর্ড
শর্টকাটগুলি
Pg Up
পৃষ্ঠার উপরে চলে যান
Pg Dn
পৃষ্ঠার নীচে চলে যান
Ctl+
অক্ষর বড় করুন
Ctl-
অক্ষর ছোট করুন
স্পেস বার
প্রতিলিপির জানলা খুলে দিন / বন্ধ করে দিন
৫। প্রতিলিপিচিহ্নের ব্যাখ্যার জন্য Help ক্লিক করুন।
এই সূচীর সাহায্যে পাণ্ডুলিপির অন্তর্ভুক্ত সব রচনার হদিশ পাওয়া যাবে।
১। আপনার অভীষ্ট রচনার শিরোনাম বাছুন: হয় বর্ণানুক্রমিক মেনুতে ক্লিক করে, অথবা বাঁদিকের ‘অন্বেষণ’-এর ঘরে শিরোনামটি লিখে।
২। শিরোনামের বিবরণসূচী পেয়ে গেলে, অভীষ্ট পাণ্ডুলিপি-সংখ্যায় ক্লিক করে সেই পাণ্ডুলিপিতে ওই রচনার ছবি ও প্রতিলিপি দেখুন। সঞ্চালনের উপায় ও শর্টকাটের জন্য উপরে দেখুন।
এই অংশে আমাদের প্রাপ্ত সব মুদ্রিত বই ও পত্রিকার ছবি দেখা যাবে।
১। রচনাগুলি দুটি মূল ভাগে ভাগ করা হয়েছে, বাংলা ও ইংরেজি।
২। প্রত্যেক ভাগ এই কটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়েছে:
রচনাবলী: বিশ্বভারতী প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলী-র পাঠ (৩২ খণ্ড + ২ খণ্ড অচলিত সংগ্রহ) ও ১৩৮০র গীতবিতানের পাঠ। ইংরেজিতে এমন কোনও শ্রেণী নেই।
সংকলন: যে-সব রচনা আগে অন্য কোনও গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে, তার সংকলন। এক্ষেত্রেও ইংরেজিতে এমন কোনও শ্রেণী নেই।
কবিতা ও গান
নাটক
গল্প ও উপন্যাস
প্রবন্ধ
৩। ওয়েবসাইটে যথাযোগ্য রচনাশ্রেণী সংক্রান্ত পাতায় পৌঁছে, তারপর বর্ণানুক্রমিক সারণিতে ক্লিক করে অথবা পাতার বাঁদিকে ‘অন্বেষণ’ চিহ্নিত ঘরে শিরোনাম টাইপ করে, আপনার অভীষ্ট রচনা ও পাঠ বাছুন।
৪। সেই পাঠের শিরোনামে ক্লিক করে তার ছবি দেখুন। পাতায় সঞ্চালন (navigation)-এর দুটি উপায় আছে:
কীবোর্ডের সাহায্যে
টুলবারের সাহায্যে। উপরে ডানদিকের টুলবার-চিহ্নে ক্লিক করে টুলবার খুলুন।
৫। এই পাতা ও সারণি মূলত সম্পূর্ণ পুস্তকাকারে প্রকাশিত পাঠ দেখার জন্য। তবে কোনও বিশেষ গল্পের পত্রিকাপাঠ ‘গল্প’-এ ক্লিক করে দেখা যাবে। বিশেষ কবিতা, গান বা প্রবন্ধ দেখা যাবে ‘রচনাবলী’ অংশে, ওই কবিতা বা প্রবন্ধ যে গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল তার সঙ্গে যুক্ত ‘পত্রিকা’ (Journals) ঘর টিপে। তবে কোনও ছোট রচনা দেখতে গেলে ‘রচনাসূচী’ অংশের সারণি মারফৎ দেখাই ভালো। সেখানে রচনাটি সম্বন্ধে কিছু বাড়তি তথ্যও পাওয়া যাবে।
৬। ছবি দেখার সময় সঞ্চালন (navigation)-এর জন্য এই উপায়গুলি ব্যবহার করতে পারেন:
মেনু বার থেকে প্রথমে ভাষা বাছুন (বাংলা বা ইংরেজি), তারপর আপনার অভীষ্ট রচনাশ্রেণী (কবিতা ও গান, নাটক ইত্যাদি)। প্রত্যেক শ্রেণীর রচনা-সূচী দুই ভাবে পরিবেশিত হয়েছে:
১। এখানে দুই উপায়ে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন:
ক। প্রথম পাতা থেকে আপনার প্রয়োজনীয় অক্ষরটি বেছে ক্লিক করে সেই আদ্যাক্ষরের শিরোনাম-সারণি খুলুন। তারপর থেকে অভীষ্ট রচনার শিরোনাম ক্লিক করলে, সেই রচনার সম্পূর্ণ গ্রন্থ-পরিচয় একটি পপ-আপ জানলায় দেখা যাবে।
খ। ‘অন্বেষণ’-এর ঘরে আপনার অভীষ্ট রচনার শিরোনাম টাইপ ও ক্লিক করে শিরোনাম-সারণি খুলুন, তারপর অভীষ্ট রচনার শিরোনাম ক্লিক করুন।
২। কবিতা ও গানের তালিকা প্রথমে শিরোনাম অনুসারে দেখা যাবে। বাঁদিকের রেডিও-বাটন ব্যবহার করে (ক) প্রথম ছত্র অনুসারে, বা (খ) রচনাবলী-র ক্রম অনুসারে দেখতে পাবেন। প্রবন্ধের ক্ষেত্রে রেডিও-বাটন ব্যবহার করে রচনাবলী-র ক্রম অনুসারে দেখতে পাবেন।
৪। গ্রন্থ-পরিচয়ের পপ-আপ জানলায় কোনো পাঠের নির্দেশ কালোয় লেখা থাকলে বুঝতে হবে, সেই পাঠটি ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। লালে লেখার অর্থ, সেটি পাওয়া যায়নি।
দ্র: আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে, রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক দফা মুদ্রিত পুস্তক ও পত্রিকার পাঠ পাওয়া যায়নি। অন্যান্য সহযোগীদের আনুকূল্যে, তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু কিছু ফাঁক পূরণ করা যায়নি।
(খ) সম্পূর্ণ তালিকা
এই ভাগে ওই শ্রেণীর সব রচনার বিবরণ একটি সারণিতে দেখা যাবে। সারণির বিভিন্ন ঘরে এই চিহ্নগুলি ব্যবহার হয়েছে:
প্রত্যেক সারির বাঁদিকের ঘরে, শিরোনামের পাশে
চিহ্ন। এটি ক্লিক করলে পাঠান্তর-নির্ণয়ের পাতা খুলে যাবে।
পাণ্ডুলিপির ক্ষেত্রে:
পাণ্ডুলিপি-সংখ্যার উপরে
চিহ্ন। এটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপির ‘ফিল্টার’ করা চূড়ান্ত পাঠের প্রতিলিপি দেখা যাবে।
পাণ্ডুলিপি-সংখ্যার নীচে
চিহ্ন। এটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপির ছবি ও বর্জন-সংযোজন সম্বলিত বিশদ প্রতিলিপি দেখা যাবে।
মুদ্রিত বই ও পত্রিকার ক্ষেত্রে:
ছবি দেখার জন্য
চিহ্ন
পাঠের প্রতিলিপি দেখার জন্য
চিহ্ন
সব ক্ষেত্রেই, কোনও অতিরিক্ত জ্ঞাতব্য তথ্য থাকলে তা দেখার জন্য
চিহ্ন ব্যবহার হয়েছে।
কোনও পাঠের পাশে যদি উপরোক্ত চিহ্নের কোনওটিই না থাকে, তার অর্থ ওই পাঠটি পাওয়া যায়নি।
কোনও বাংলা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত সব কবিতার তালিকা পেতে হলে বর্ণানুক্রমিক সূচীর ‘গ্রন্থ’ বিকল্প থেকে সেই গ্রন্থের শিরোনাম বেছে (যেমন কড়ি ও কোমল, মানসী বা সোনার তরী) ক্লিক করুন। কবিতাগুলির তালিকা-সম্বলিত একটি সারণি খুলে যাবে। সেই সারণি থেকে যে-কোনও কবিতা বেছে দেখা যাবে।
কোনও ইংরেজি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত সব কবিতার তালিকা পেতে হলে ‘সমগ্র রচনাসূচী’র সারণি থেকে ঐ গ্রন্থের শিরোনাম বেছে (যেমন Gitanjali, The Crescent Moon, Crossing, Fruit-Gathering বা Lover’s Gift)। ক্লিক করুন। ঐ গ্রন্থের সব কবিতার তালিকা একটি পপ-আপ জানলায় দেখা যাবে। তার যে-কোনও কবিতা বর্ণানুক্রমিক সূচীর সাহায্যে দেখা যাবে।
বাংলা রচনাসূচীর প্রত্যেক শ্রেণীর একটি তৃতীয় ভাগ আছে, ‘অন্যান্য সূচী’। মূল রচনাসূচীতে সব রচনা বিশ্বভারতী রচনাবলীতে দৃষ্ট শিরোনাম অনুসারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কোনো রচনার বিকল্প বা অতিরিক্ত শিরোনাম থাকলে (যেমন ‘দূর হতে কী শুনিস’ কবিতার শিরোনাম ‘ঝড়ের খেয়া’, বা ‘হে মোর চিত্ত’ কবিতার শিরোনাম ‘ভারত-তীর্থ’), সেটি এই তালিকার সাহায্যে দেখা যেতে পারে।
পি.সি-তে CTL+F বা ম্যাক-এ CMD+F টিপুন। তাতে যে বাক্সটি খুলে যাবে, তাতে যে বিকল্প শিরোনাম আপনি খুঁজছেন সেটি লিখে দিলে, সেই শিরোনামটি নির্দিষ্ট হবে।
বাংলা 'গল্প ও উপন্যাস'-এর ক্ষেত্রে ছোট গল্পের সংকলনগুলির একটি পূর্ণাঙ্গ সূচীও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বাংলা রচনাসূচীতে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনার (মাস ও সাল অনুসারে) বা স্বতন্ত্র গ্রন্থের (সাল অনুসারে) প্রকাশের কালানুক্রমিক সূচী দেখা যাবে। এই সূচীটি দুই ভাবে দেখা যাবে।
এই অংশের প্রথম পাতায় কোনো মাস বা বছরের এর উপর ক্লিক করলে , সেই মাস বা বছরের সংরূপ-অনুসারে বিভক্ত রচনাতালিকা-সম্বলিত একটি পৃষ্ঠা খুলে যাবে। এই পৃষ্ঠার উপরে বাঁ ও ডান দিকের ছোট বাক্সে ক্লিক করে যথাক্রমে আগের বা পরের মাস বা বছরে চলে যাওয়া যাবে।
পাতার উপরে 'অন্বেষণ' লেখার উপর ক্লিক করলে একটি টুলবার খুলে যাবে। তাতে প্রথমে সংরূপ এবং তার পর রচনার নাম নির্দিষ্ট করলে, সেই রচনার প্রকাশের তারিখ পাশে দেখা যাবে।
দ্র: আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে, রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক দফা মুদ্রিত পুস্তক ও পত্রিকার পাঠ পাওয়া যায়নি। অন্যান্য সহযোগীদের আনুকূল্যে, তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু কিছু ফাঁক পূরণ করা যায়নি।
কোনও রচনার গ্রন্থ-পরিচয় ও ছবি দেখতে ‘বর্ণানুক্রমিক ভাগ’ দেখুন। সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ‘সম্পূর্ণ তালিকা’ দেখুন।
অন্বেষণ-যন্ত্রে কেবল এই পাঠগুলিই পাওয়া যাবে: বাংলা: বিশ্বভারতী প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলী-র পাঠ (৩২ খণ্ড + ২ খণ্ড অচলিত সংগ্রহ) ও ১৩৮০র গীতবিতানের পাঠ ইংরেজি:
সাহিত্য অকাদেমি প্রকাশিত The English Writings of Rabindranath Tagore-এ(৪ খণ্ড) অন্তর্ভুক্ত রচনার ক্ষেত্রে, যে মূল পাঠটি ওই সংকলনে ব্যবহৃত হয়েছে (English Writings-এর পাঠ নয়)।
ওই সংকলনে অন্তুর্ভুক্ত নয়, এমন রচনার ক্ষেত্রে আমাদের প্রাপ্ত প্রথম মুদ্রিত পাঠ
১। যে শ্রেণীর রচনায় খুঁজতে চান (সমগ্র রচনা, কবিতা ও গান, নাটক ইত্যাদি), সেটি ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে বাছুন।
২। এই অংশের প্রথম পাতায় নির্দিষ্ট ঘরে আপনার প্রয়োজনীয় শব্দ বা বাক্যাংশ টাইপ করুন। বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে হয় বাংলায় টাইপ করুন, নয়তো ইংরেজি অক্ষরে টাইপ করে Enter বা স্পেস বার টিপুন। ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রে প্রথমে CTL+M টিপে তারপর টাইপ করুন।
৩। ওই শব্দ বা বাক্যাংশ সম্বলিত সব পাঠ্যাংশ সূত্র সমেত দেখা যাবে, এক-এক বার ১০টি করে। কোনও শিরোনামে ক্লিক করলে, সেই রচনার সম্পূর্ণ পাঠ একটি নতুন জানলায় দেখা যাবে।
৪। এবার পি-সির ক্ষেত্রে CTL+F ও ম্যাক-এর ক্ষেত্রে CMD+F টিপে উপরে ডান দিকে যে ঘর খুলে যাবে, সেখানে শব্দ বা বাক্যাংশটি উপরের পদ্ধতি অনুসারে টাইপ করুন। বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে হয় বাংলা হরফে টাইপ করুন, নয় আগের পাতার ঘর থেকে ‘কাট-অ্যাণ্ড-পেস্ট’ করে ঘর পূরণ করুন: ইংরেজি হরফে টাইপ করবেন না। (ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রে প্রথমে CTL+M টিপে তারপর টাইপ করুন।) শব্দ বা বাক্যাংশটি রচনার সম্পূর্ণ পাঠের মধ্যে রঙিন হয়ে চিহ্নিত অর্থাৎ ‘হাইলাইটেড’ হবে।
আমাদের পাঠান্তর-নির্ণয় সফটওয়ার ‘প্রভেদ’ তিন স্তরে পাঠান্তর নির্ণয় করে: অংশ (section) ও উপাংশ (segment) সম্বলিত বৃহৎ বা gross collation, এবং শব্দের স্তরে সূক্ষ্ম বা fine collation.
অংশ হল উপন্যাস বা অন্য দীর্ঘ গদ্যরচনার একটি অধ্যায় বা পরিচ্ছেদ, দীর্ঘ নাটকের একটি দৃশ্য, বা দীর্ঘ কাব্যের একটি সর্গ। এই স্তরে (section level) প্রভেদ কোনও রচনার বিভিন্ন অংশ পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের মিল ও অমিল দেখিয়ে দেবে। কোনও ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ সবটাই একটি অংশ বলে গণ্য হবে।
দ্র: প্রভেদ প্রয়োগের জন্য যেভাবে একটি দীর্ঘ রচনা ভাগ করতে হয়, তাতে মাঝে-মাঝে একই অংশের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে এক লাইন ফাঁক থাকলে (যথা, গদ্যরচনার মধ্যে অবস্থিত কোনও কবিতার বিভিন্ন স্তবকের মধ্যে) প্রত্যেকটি ভাগ একটি আলাদা অংশ হিসাবে গণ্য হতে পারে।
উপাংশ হল একটি অংশের ক্ষুদ্রতর ভাগ, যথা গদ্যরচনার একটি অনুচ্ছেদ, নাটকের সংলাপে একটি উক্তি, বা কবিতার একটি স্তবক। এই স্তরে (segment level) প্রভেদ কোনও রচনার একটি অংশের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ, উক্তি, স্তবক ইত্যাদি পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের মিল ও অমিল দেখিয়ে দেবে। মিলে-যাওয়া উপাংশগুলি সচরাচর মিলে-যাওয়া অংশের মধ্যেই থাকে, কিন্তু অন্য অংশে থাকলেও তা দেখিয়ে দেওয়া হবে।
স্তবকে বিভক্ত নয় এমন ছোট কবিতা বা গান একটি উপাংশ হিসাবেই দেখানো হবে, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে অংশ ও উপাংশ একই হবে।
শব্দ: সবচেয়ে সূক্ষ্ম স্তরে প্রভেদ মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির প্রত্যেকটি শব্দ মিলিয়ে তাদের মিল ও অমিল দেখিয়ে দেবে।
১। অংশ-স্তরের পাঠান্তর দেখানো হবে কতগুলি রঙিন ডোরার মাধ্যমে। এক-একটি ডোরা রচনার এক-একটি পাঠ বা সংস্করণ বোঝাচ্ছে। প্রত্যেক ডোরা একটি আলাদা রঙের।
এক-একটি ডোরার ছোট-ছোট ভাগগুলি বোঝাচ্ছে সেই পাঠ বা সংস্করণের এক-একটি অংশ (পরিচ্ছেদ, দৃশ্য, সর্গ ইত্যাদি)। দেখার সুবিধার জন্য এই ভাগগুলির মধ্যে গাঢ় ও হালকা রঙের পার্থক্য রয়েছে। আয়তনের অনুপাতে ভাগগুলি চওড়া বা সরু।
একটি ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ, যার মধ্যে কোনও অংশের ভাগ নেই, সবটাই একটিমাত্র অংশ হিসাবে দেখানো হবে: অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ডোরাটিতে কোনও গাঢ়-হালকা ভাগ থাকবে না, সবটাই এক রঙে দেখা যাবে।
অংশগুলির ক্রমিক সংখ্যা ০ থেকে শুরু। অর্থাৎ 1316/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬র সংস্করণের প্রথম অংশ। 1316/1 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয় অংশ।
২। যে পাঠটি ভিত্তি-পাঠ (base text) হিসাবে ধরে অন্যগুলির সঙ্গে তুলনা করতে চান, সেটির সূচক ডোরার উপর মাউস নিয়ে যান। সেই ডোরাটি বিশেষ ভাবে চিহ্নিত (highlighted) হবে।
৩। এবার যে অংশটির তুলনা করতে চান, ওই ডোরায় সেই অংশের সূচক ভাগটি ক্লিক করুন। অন্যান্য পাঠে অর্থাৎ ডোরাগুলিতে তার সঙ্গে মিলে-যাওয়া অংশগুলির নীচে লাল দাগ দেখা যাবে। অংশ-সংখ্যা দেখা যাবে উপরে ডান দিকের কোনে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া অংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই অংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। নীচের এই তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠ সংখ্যায় ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে উপাংশ মেলাবার জানালা খুলে যাবে।
৬। নীচে অন্য কোনও পাঠে ক্লিক করলে ডান দিকে একটি ঘর খুলে যাবে, যাতে ভিত্তি-পাঠ এবং এই নির্বাচিত পাঠ দুটির উপাংশগুলির মিল-অমিল রং মিলিয়ে দেখানো হবে। মিলে-যাওয়া উপাংশগুলি ছাই-রঙের ডোরা দিয়ে যুক্ত থাকবে।
১। উপাংশ-স্তরে পাঠান্তরে মোটামুটি অংশ-স্তরে পাঠান্তরের মত করেই দেখা যাবে।
২। উপরের ৫ নম্বর নির্দেশমত উপাংশ স্থরের পাতাটি খুলুন। আপনার পূর্বনির্বাচিত ভিত্তি-পাঠের নির্বাচিত অংশ বোঝাতে একটি রঙিন ডোরা দেখতে পাবেন। তাতে ক্লিক করলে আরও কতগুলি রঙিন ডোরা দেখবেন, যা অন্যান্য পাঠ বা সংস্করণে মিলে-যাওয়া অংশটি বোঝাচ্ছে।
এক-একটি ডোরার ছোট-ছোট ভাগগুলি বোঝাচ্ছে সেই পাঠ বা সংস্করণে ওই অংশের এক-একটি উপাংশ (অনুচ্ছেদ, উক্তি, স্তবক ইত্যাদি)। সম্পূর্ণ রচনার মধ্যে ওই উপাংশের আয়তনের অনুপাতে ভাগগুলি চওড়া বা সরু।
একটি ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ, যার মধ্যে কোনও উপাংশের ভাগ নেই, সবটাই একটিমাত্র উপাংশ হিসাবে দেখানো হবে: অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ডোরাটিতে কোনও গাঢ়-হালকা ভাগ থাকবে না, সবটাই এক রঙে দেখা যাবে।
উপাংশগুলির ক্রমিক সংখ্যা ০ থেকে শুরু। অর্থাৎ 1316/0/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬র সংস্করণের প্রথম অংশের প্রথম উপাংশ। 1316/1/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয় অংশের প্রথম উপাংশ। 1316/1/1 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয় অংশের দ্বিতীয় উপাংশ।
৩। এবার ভিত্তি-পাঠ নির্ধারক উপরের ডোরার যে উপাংশটি আপনি মেলাতে চান, সেটির নির্ধারক রঙিন ভাগে ক্লিক করুন। অন্যান্য পাঠে অর্থাৎ ডোরাগুলিতে তার সঙ্গে মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির নীচে লাল দাগ দেখা যাবে। উপাংশ-সংখ্যা দেখা যাবে উপরে ডান দিকের মার্জিনে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই উপাংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। উপরে ডান দিকে Grid view-এ ক্লিক করলে মিল-অমিলের শতাংশভিত্তিক হিসাব সারণির আকারে দেখতে পাবেন। এখানে বাঁদিকের প্রথম সারিতে ভিত্তি-পাঠের উপাংশ-সংখ্যাগুলি দেওয়া আছে। পরের সারিগুলিতে অন্যান্য পাঠ বা সংস্করণে তুল্য উপাংশগুলির মিল দেখানো আছে, শতাংশের হিসাবে। উপাংশ-স্তরের আগের পাতার নীচের ক্রম অনুসারে এই পাঠ বা সংস্করণগুলি ১, ২, ৩ বলে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
৬। নীচের তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠে ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে এই উপাংশের প্রতিটি শব্দ মিলিয়ে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’ (fine collation) মেলাবার জানালা খুলে যাবে।
১। নির্বাচিত উপাংশের শব্দ-স্তরে পাঠান্তর দেখানো হবে চার ভাগে ভাগ করা একটি পাতায়। পাতার মাথায় ওই অংশ ও উপাংশের সংখ্যা দেখা যাবে। তার সঙ্গে অন্য যে পাঠ বা সংস্করণগুলি মেলানো হচ্ছে, সেগুলির অংশ ও উপাংশের সংখ্যা উপরে বাঁদিকে একটি সারণিতে দেখা যাবে।
২। উপরের বাঁদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ দেখা যাবে।
৩। নীচের বাঁদিকের ভাগে আপনার নির্বাচিত অন্য যে-কোনও পাঠ বা সংস্করণে সমতুল্য উপাংশের পাঠ দেখা যাবে। সেটি বাছতে উপরে বাঁদিকের সারণিতে ওই পাঠ বা সংস্করণ-সংখ্যায় ক্লিক করুন।
৪। উপরের ডানদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ আবার দেখা যাবে। তাতে মিল-অমিল বোঝাতে চারটি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে:
কালোর অর্থ, ওই শব্দটি সব পাঠেই হুবহু এক।
লালের অর্থ, ওই শব্দটি বিভিন্ন পাঠে আলাদা কিন্তু কাছাকাছি বা তুলনীয়।
নীলের অর্থ, শব্দটি ভিত্তি-পাঠে আছে কিন্তু অন্য এক বা একাধিক পাঠে নেই। নীলে লেখা শব্দটি ক্লিক করলে কোন-কোন পাঠে শব্দটি নেই, তা নীচের ডান দিকের ভাগে দেখা যাবে।
সবুজের অর্থ, শব্দটি ভিত্তি-পাঠে নেই কিন্তু অন্য এক বা একাধিক পাঠে আছে। সবুজ বিন্দুতে ক্লিক করলে সেই স্থানে কোন পাঠে কী শব্দ আছে, তা নীচের ডান দিকের ভাগে দেখা যাবে।
৫। বিন্দুর অর্থ, ওই স্থানে বর্তমান পাঠে কোনও শব্দ নেই কিন্তু অন্য এক বা একাধিক পাঠে আছে।
বিভিন্ন পাঠ বা সংস্করণগুলি এইভাবে নির্দিষ্ট হয়েছে:
মুদ্রিত পাঠের ক্ষেত্রে: বাংলা রচনা হলে বঙ্গাব্দে প্রকাশবর্ষের চারটি সংখ্যা, ইংরেজি রচনা হলে আন্তর্জাতিক রীতিতে প্রকাশবর্ষের চারটি সংখ্যা। একই বছরে একাধিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা a, b ইত্যাদি অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পাণ্ডুলিপির ক্ষেত্রে: রবীন্দ্র-ভবনের মূল তালিকা-ক্রমের পাণ্ডুলিপি হলে [R+পাণ্ডুলিপি সংখ্যা], ‘MSF-Bengali’ ক্রমের হলে [B+পাণ্ডুলিপি সংখ্যা], ‘MSF-English’ ক্রমের হলে [E+পাণ্ডুলিপি সংখ্যা], হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাণ্ডুলিপি হলে [H+পাণ্ডুলিপি সংখ্যা]।
১ থেকে ৪ অক্ষরের শব্দ হলে, সব কটি অক্ষরচিহ্ন (character) মিললে তবেই মিল বলে গণ্য হচ্ছে। ৪-এর বেশি অক্ষরচিহ্ন থাকলে, বাড়তি প্রতিটি ১-৪ অক্ষরে একটি গরমিল মেনে নেওয়া হচ্ছে: অর্থাৎ ৫ থেকে ৮ অক্ষরচিহ্নের শব্দে একটি অক্ষরে গরমিল, ৯ থেকে ১২ অক্ষরচিহ্নের শব্দে দুটি অক্ষরে গরমিল, ইত্যাদি।
দ্র: অ-কার বাদে সব স্বরবর্ণ-চিহ্ন একটি স্বতন্ত্র অক্ষরচিহ্ন হিসাবে ধরা হয়েছে। যুক্তাক্ষরের প্রত্যেকটি উপাদানও একটি স্বতন্ত্র অক্ষরচিহ্ন হিসাবে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ ‘কাল’ শব্দে আছে ৩টি অক্ষরচিহ্ন, ‘বর্ষা’ শব্দে ৪টি অক্ষরচিহ্ন, ‘নম্রতা’ শব্দে ৫টি অক্ষরচিহ্ন, ‘রবীন্দ্রনাথ’ শব্দে ৯টি অক্ষরচিহ্ন। অংশ ও উপাংশের মিল
১। সাধারণভাবে দুটি অংশ বা উপাংশের মধ্যে উভয় দিক দিয়ে গুনে অন্তত ৬০% মিল পেলে সে অংশ বা উপাংশ দুটিতে মিল আছে বলে গণ্য হচ্ছে।
২। যদি কোথাও এক পাঠের একটি বড় অংশ বা উপাংশ অপর পাঠে দুই বা ততোধিক ছোট অংশ বা উপাংশে ভাগ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এই হিসাব মিলবে না। অতএব কেবল এক দিকে ৬০%+ মিল পেলে, অন্য দিক থেকে tension count করে ১৫%-এর অধিক মিল পেলেই অংশ বা উপাংশ দুটির মধ্যে মিল দেখানো হচ্ছে।
৩। এর ফলে অবশ্য কিছু-কিছু ভুল মিলও দেখা যাবে, কারণ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অংশ বা উপাংশের মধ্যেও দৈবাৎ ১৫%+ মিল ঘটতে পারে। এটি সচরাচর ঘটবে এক বা খুব অল্প কয়েকটি শব্দ-সম্বলিত উপাংশের ক্ষেত্রে। অতএব ৩০-৩৫%-এর নীচে কোনও মিল গ্রহণ করার আগে পাঠটি দেখে নেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন –- বিশেষ করে যদি পাশাপাশি ৬০%-এর বেশি আরেকটি মিলও দেখানো থাকে।
৪। মাঝে-মাঝে, একটি শব্দ বা বাক্যাংশ বারবার পাওয়া যায় – যেমন নাটকে ‘প্রস্থান’ ইত্যাদি মঞ্চনির্দেশে বা কবিতার ধুয়াতে। এর ফলে একই পাঠের মধ্যে বারবার ৮৫%+ এমনকী ১০০% মিল পাওয়া যেতে পারে। এই সঠিক কিন্তু বিভ্রান্তিকর মিলের সংখ্যা সীমিত রাখার জন্য, বারবার এমন মিল পাওয়া গেলে প্রত্যেক অংশে কেবল প্রথম নজিরটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য, কোনও অংশ বা উপাংশে মাত্র একবার ৮৫%+ মিল পেলে সেটি সর্বদাই গণ্য হয়েছে, কারণ ধরে নেওয়া যায় সেটি যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ মিল।