সংক্ষিপ্ত নির্দেশ
কীবোর্ড
বাংলা হরফ ও যুক্তাক্ষর লিপ্যয়নের জন্য ‘অভ্র’ কীবোর্ড প্রণালী ব্যবহৃত হয়েছে। তবে ‘অভ্র’-র পদ্ধতি অনুসারে ইংরেজি হরফে বাংলা শব্দ লিখে তা বাংলায় রূপান্তরিত করা যায়। ওয়েবসাইটে যথাস্থানে তার নির্দেশ দেওয়া আছে।
প্রতিলিপি-পদ্ধতি
পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি ছবির ডান পাশে দেখা যাবে। পাণ্ডুলিপি ও মুদ্রিত পাঠ, উভয়ের প্রতিলিপি ‘রচনাসূচী: সম্পূর্ণ তালিকা’ অথবা ‘পাঠান্তর’ অংশের সারণিতে চিত্রচিহ্নে ক্লিক করলে দেখা যাবে।
সারণিতে পাঠের পাশে বা চিত্রচিহ্ন না থাকলে বুঝতে হবে, সেই পাঠ বা সংস্করণটি পাওয়া যায়নি।
মূল পাঠের কিছু-কিছু অনুষঙ্গ মাঝে-মাঝে সমীকৃত করা হয়েছে, যেমন কবিতার স্তবক, গদ্যের অনুচ্ছেদ বা নাটকে দুটি সংলাপের মধ্যেকার ফাঁকের ক্ষেত্রে। মুদ্রণপ্রমাদ সচরাচর রক্ষিত হয়েছে।
পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি দুইভাবে পেশ করা হয়েছে:
প্রতিলিপিতে কোনও অংশের আগে একটি বা দুটি তারাচিহ্ন থাকার অর্থ, তার সংলগ্ন পৃষ্ঠা-সংখ্যা, মন্তব্য, টীকা, ইত্যাদি প্রতিলিপিকরণের সময়ে বসানো হয়েছে; এগুলি মূল পাঠের অংশ নয়।
পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপিতে ব্যবহৃত চিহ্নচিহ্ন | ব্যবহার/টীকা |
---|---|
<পাঠ> | বর্জিত পাঠ |
{পাঠ} | সংযোজিত পাঠ |
+++ | পাঠোদ্ধার করা যায়নি |
±পাঠ± | পাঠের অবস্থান অনিশ্চিত |
৲পাঠ৩৲ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ ৴পাঠ১৴ | স্থানান্তরিত পাঠ |
[\পাঠ\] | নিম্নরেখিত পাঠ |
⋋১ম পাঠরূপ⋋ ⋌২য় পাঠরূপ⋌ | এক সঙ্গে একই রচনাংশের দুটি পাঠরূপ |
≮পাঠ≯ | stet: বর্জিত পাঠের পুনর্গ্রহণ |
[~ ] অথবা [~] | মার্জিনে কোনও টীকা, মন্তব্য, নির্দেশ প্রভৃতি থাকলে সেটি [~ ] চিহ্নের মধ্যে বসানো হয়েছে। মূল পাঠের যে অংশের পাশে সেটি বসানো আছে, পাঠের সেই অংশের গোড়ায় ও শেষে [~] চিহ্ন বসানো হয়েছে। |
<⋏⋏> অথবা {⋏পাঠ⋏} অথবা <⋎⋎> অথবা {⋎পাঠ⋎} | রেখা, তীরচিহ্ন বা তারাচিহ্নের সাহায্যে কোনও ছোট পাঠ্যাংশ বাক্য/বাক্যাংশের) স্থানান্তর ঘটলে: বাক্য/বাক্যাংশ নীচ থেকে উপরে উঠে এলে এই চিহ্ন:
|
⋀ অথবা ⋁ | কোনও বড় অংশ বা স্তবক নীচ থেকে উপরে উঠে এলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋀ কোনও বড় অংশ বা স্তবক উপর থেকে নীচে নেমে গেলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋁ এই সব ক্ষেত্রে, পাঠের আদি অবস্থানে কোনও চিহ্ন বসানো হয়নি। |
∟ | মূল পাণ্ডুলিপিতে ∟, খাড়া দাগ ইত্যাদি চিহ্ন দিয়ে স্তবক বা অনুচ্ছেদ ভাঙার ইঙ্গিত থাকলে, প্রতিলিপিতে পরের অংশটি নতুন স্তবক বা অনুচ্ছেদে বসানো হয়েছে, আগে ∟ চিহ্ন দিয়ে। |
সংগ্রহ: পাণ্ডুলিপি
পাণ্ডুলিপিগুলি চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত:- RBVBMS: রবীন্দ্রভবনের মূল পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ
- BMSF: রবীন্দ্রভবনের ‘বাংলা পাণ্ডুলিপি ফাইল’ (Bengali Manuscript Files) সংগ্রহ
- EMSF: রবীন্দ্রভবনের ‘ইংরেজি পাণ্ডুলিপি ফাইল’ (English Manuscript Files) সংগ্রহ
- HRVD: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুটন গ্রন্থাগারের রোথেনস্টাইন সংগ্রহ
পাণ্ডুলিপি ও প্রতিলিপি দুইভাবে দেখা যায়:
পাণ্ডুলিপি-সূচী
১। পাণ্ডুলিপি-সূচী ক্লিক করুন। সব পাণ্ডুলিপি ও তাদের অন্তর্ভুক্ত রচনার তালিকা-সম্বলিত একটি সারণি খুলে যাবে।
শিরোনাম-সূচী
এই সূচীর সাহায্যে পাণ্ডুলিপির অন্তর্ভুক্ত সব রচনার হদিশ পাওয়া যাবে।
১। আপনার অভীষ্ট রচনার শিরোনাম বাছুন: হয় বর্ণানুক্রমিক মেনুতে ক্লিক করে, অথবা বাঁদিকের ‘অন্বেষণ’-এর ঘরে শিরোনামটি লিখে।২। শিরোনামের বিবরণসূচী পেয়ে গেলে, অভীষ্ট পাণ্ডুলিপি-সংখ্যায় ক্লিক করে সেই পাণ্ডুলিপিতে ওই রচনার ছবি ও প্রতিলিপি দেখুন। সঞ্চালনের উপায় ও শর্টকাটের জন্য উপরে দেখুন।
সংগ্রহ: পুস্তক ও পত্রিকা-পাঠ
ওয়েবসাইটে অভীষ্ট রচনাশ্রেণীর পাতায় পৌঁছে, তারপর বর্ণানুক্রমিক সারণিতে ক্লিক করে অথবা পাতার বাঁদিকে ‘অন্বেষণ’ চিহ্নিত ঘরে শিরোনাম টাইপ করে, আপনার অভীষ্ট রচনা ও পাঠ বাছুন। সেই পাঠের শিরোনামে ক্লিক করে তার ছবি দেখুন।
এই পাতা ও সারণি মূলত সম্পূর্ণ পুস্তকাকারে প্রকাশিত পাঠ দেখার জন্য। কোনও ছোট রচনা দেখতে গেলে ‘রচনাসূচী’ অংশের সারণি মারফৎ দেখাই ভালো। সেখানে রচনাটি সম্বন্ধে কিছু বাড়তি তথ্যও পাওয়া যাবে।
দ্র: আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে, রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক দফা মুদ্রিত পুস্তক ও পত্রিকার পাঠ পাওয়া যায়নি। অন্যান্য সহযোগীদের আনুকূল্যে, তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু কিছু ফাঁক পূরণ করা যায়নি।
রচনা-সূচী
মেনু বার থেকে প্রথমে ভাষা বাছুন (বাংলা বা ইংরেজি), তারপর আপনার অভীষ্ট রচনাশ্রেণী (কবিতা ও গান, নাটক ইত্যাদি)। প্রত্যেক শ্রেণীর রচনা-সূচী দুই ভাবে পরিবেশিত হয়েছে:
(ক) বর্ণানুক্রমিক ভাগ
১। এখানে দুই উপায়ে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন:৪। গ্রন্থ-পরিচয়ের পপ-আপ জানলায় কোনো পাঠের নির্দেশ কালোয় লেখা থাকলে বুঝতে হবে, সেই পাঠটি ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। লালে লেখার অর্থ, সেটি পাওয়া যায়নি।
(খ) সম্পূর্ণ তালিকা
এই ভাগে ওই শ্রেণীর সব রচনার বিবরণ একটি সারণিতে দেখা যাবে। সারণির বিভিন্ন ঘরে এই চিহ্নগুলি ব্যবহার হয়েছে:- প্রত্যেক সারির বাঁদিকের ঘরে, শিরোনামের পাশে চিহ্ন। এটি ক্লিক করলে পাঠান্তর-নির্ণয়ের পাতা খুলে যাবে।
- পাণ্ডুলিপির ক্ষেত্রে:
- পাণ্ডুলিপি-সংখ্যার উপরে চিহ্ন। এটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপির ‘ফিল্টার’ করা চূড়ান্ত পাঠের প্রতিলিপি দেখা যাবে।
- পাণ্ডুলিপি-সংখ্যার নীচে চিহ্ন। এটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপির ছবি ও বর্জন-সংযোজন সম্বলিত বিশদ প্রতিলিপি দেখা যাবে।
- মুদ্রিত বই ও পত্রিকার ক্ষেত্রে:
- ছবি দেখার জন্য চিহ্ন
- পাঠের প্রতিলিপি দেখার জন্য চিহ্ন
- সব ক্ষেত্রেই, কোনও অতিরিক্ত জ্ঞাতব্য তথ্য থাকলে তা দেখার জন্য চিহ্ন ব্যবহার হয়েছে।
- কোনও পাঠের পাশে যদি উপরোক্ত চিহ্নের কোনওটিই না থাকে, তার অর্থ ওই পাঠটি পাওয়া যায়নি।
(গ) অন্যান্য সূচী
বাংলা রচনাসূচীর প্রত্যেক শ্রেণীর একটি তৃতীয় ভাগ আছে, ‘অন্যান্য সূচী’। মূল রচনাসূচীতে সব রচনা বিশ্বভারতী রচনাবলীতে দৃষ্ট শিরোনাম অনুসারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কোনো রচনার বিকল্প বা অতিরিক্ত শিরোনাম থাকলে (যেমন ‘দূর হতে কী শুনিস’ কবিতার শিরোনাম ‘ঝড়ের খেয়া’, বা ‘হে মোর চিত্ত’ কবিতার শিরোনাম ‘ভারত-তীর্থ’), সেটি এই তালিকার সাহায্যে দেখা যেতে পারে।
পি.সি-তে CTL+F বা ম্যাক-এ CMD+F টিপুন। তাতে যে বাক্সটি খুলে যাবে, তাতে যে বিকল্প শিরোনাম আপনি খুঁজছেন সেটি লিখে দিলে, সেই শিরোনামটি নির্দিষ্ট হবে।
বাংলা 'গল্প ও উপন্যাস'-এর ক্ষেত্রে ছোট গল্পের সংকলনগুলির একটি পূর্ণাঙ্গ সূচীও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
(ঘ) কালানুক্রমিক সূচী
বাংলা রচনাসূচীতে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনার (মাস ও সাল অনুসারে) বা স্বতন্ত্র গ্রন্থের (সাল অনুসারে) প্রকাশের কালানুক্রমিক সূচী দেখা যাবে। এই সূচীটি দুই ভাবে দেখা যাবে।
- এই অংশের প্রথম পাতায় কোনো মাস বা বছরের এর উপর ক্লিক করলে , সেই মাস বা বছরের সংরূপ-অনুসারে বিভক্ত রচনাতালিকা-সম্বলিত একটি পৃষ্ঠা খুলে যাবে। এই পৃষ্ঠার উপরে বাঁ ও ডান দিকের ছোট বাক্সে ক্লিক করে যথাক্রমে আগের বা পরের মাস বা বছরে চলে যাওয়া যাবে।
- পাতার উপরে 'অন্বেষণ' লেখার উপর ক্লিক করলে একটি টুলবার খুলে যাবে। তাতে প্রথমে সংরূপ এবং তার পর রচনার নাম নির্দিষ্ট করলে, সেই রচনার প্রকাশের তারিখ পাশে দেখা যাবে।
দ্র: আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে, রবীন্দ্র-ভবন থেকে শেষ এক দফা মুদ্রিত পুস্তক ও পত্রিকার পাঠ পাওয়া যায়নি। অন্যান্য সহযোগীদের আনুকূল্যে, তার কিছু-কিছু অন্য সূত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু কিছু ফাঁক পূরণ করা যায়নি।
অন্বেষণ
ব্যবহারবিধি
পাঠান্তর
ত্রিস্তর পাঠান্তর-নির্ণয়
আমাদের পাঠান্তর-নির্ণয় সফটওয়ার ‘প্রভেদ’ তিন স্তরে পাঠান্তর নির্ণয় করে: অংশ (section) ও উপাংশ (segment) সম্বলিত বৃহৎ বা gross collation, এবং শব্দের স্তরে সূক্ষ্ম বা fine collation.- অংশ হল উপন্যাস বা অন্য দীর্ঘ গদ্যরচনার একটি অধ্যায় বা পরিচ্ছেদ, দীর্ঘ নাটকের একটি দৃশ্য, বা দীর্ঘ কাব্যের একটি সর্গ। এই স্তরে (section level) প্রভেদ কোনও রচনার বিভিন্ন অংশ পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের মিল ও অমিল দেখিয়ে দেবে। কোনও ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ সবটাই একটি অংশ বলে গণ্য হবে।
দ্র: প্রভেদ প্রয়োগের জন্য যেভাবে একটি দীর্ঘ রচনা ভাগ করতে হয়, তাতে মাঝে-মাঝে একই অংশের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে এক লাইন ফাঁক থাকলে (যথা, গদ্যরচনার মধ্যে অবস্থিত কোনও কবিতার বিভিন্ন স্তবকের মধ্যে) প্রত্যেকটি ভাগ একটি আলাদা অংশ হিসাবে গণ্য হতে পারে।
- উপাংশ হল একটি অংশের ক্ষুদ্রতর ভাগ, যথা গদ্যরচনার একটি অনুচ্ছেদ, নাটকের সংলাপে একটি উক্তি, বা কবিতার একটি স্তবক। এই স্তরে (segment level) প্রভেদ কোনও রচনার একটি অংশের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ, উক্তি, স্তবক ইত্যাদি পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের মিল ও অমিল দেখিয়ে দেবে। মিলে-যাওয়া উপাংশগুলি সচরাচর মিলে-যাওয়া অংশের মধ্যেই থাকে, কিন্তু অন্য অংশে থাকলেও তা দেখিয়ে দেওয়া হবে।
স্তবকে বিভক্ত নয় এমন ছোট কবিতা বা গান একটি উপাংশ হিসাবেই দেখানো হবে, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে অংশ ও উপাংশ একই হবে।
- শব্দ: সবচেয়ে সূক্ষ্ম স্তরে প্রভেদ মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির প্রত্যেকটি শব্দ মিলিয়ে তাদের মিল ও অমিল দেখিয়ে দেবে।
অংশ-স্তরে পাঠান্তর
১। অংশ-স্তরের পাঠান্তর দেখানো হবে কতগুলি রঙিন ডোরার মাধ্যমে। এক-একটি ডোরা রচনার এক-একটি পাঠ বা সংস্করণ বোঝাচ্ছে। প্রত্যেক ডোরা একটি আলাদা রঙের।
৩। এবার যে অংশটির তুলনা করতে চান, ওই ডোরায় সেই অংশের সূচক ভাগটি ক্লিক করুন। অন্যান্য পাঠে অর্থাৎ ডোরাগুলিতে তার সঙ্গে মিলে-যাওয়া অংশগুলির নীচে লাল দাগ দেখা যাবে। অংশ-সংখ্যা দেখা যাবে উপরে ডান দিকের কোনে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া অংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই অংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। নীচের এই তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠ সংখ্যায় ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে উপাংশ মেলাবার জানালা খুলে যাবে।
৬। নীচে অন্য কোনও পাঠে ক্লিক করলে ডান দিকে একটি ঘর খুলে যাবে, যাতে ভিত্তি-পাঠ এবং এই নির্বাচিত পাঠ দুটির উপাংশগুলির মিল-অমিল রং মিলিয়ে দেখানো হবে। মিলে-যাওয়া উপাংশগুলি ছাই-রঙের ডোরা দিয়ে যুক্ত থাকবে। ৭। উপরে ডান দিকে Grid View ঘরে ক্লিক করলে পাঠান্তর-নির্ণয়ের ফল একটি সারণির আকারে দেখা যাবে।
উপাংশ-স্তরে পাঠান্তর
১। উপাংশ-স্তরে পাঠান্তরে মোটামুটি অংশ-স্তরে পাঠান্তরের মত করেই দেখা যাবে।
২। উপরের ৫ নম্বর নির্দেশমত উপাংশ স্থরের পাতাটি খুলুন। আপনার পূর্বনির্বাচিত ভিত্তি-পাঠের নির্বাচিত অংশ বোঝাতে একটি রঙিন ডোরা দেখতে পাবেন। তাতে ক্লিক করলে আরও কতগুলি রঙিন ডোরা দেখবেন, যা অন্যান্য পাঠ বা সংস্করণে মিলে-যাওয়া অংশটি বোঝাচ্ছে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই উপাংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। আপনার অভীষ্ট উপাংশে পৌঁছতে উপরে ডান দিকে তীরচিহ্নের সাহায্য নিন।
৬। উপরে ডান দিকে Grid view-এ ক্লিক করলে মিল-অমিলের শতাংশভিত্তিক হিসাব সারণির আকারে দেখতে পাবেন। ৭। নীচের তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠে ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে এই উপাংশের প্রতিটি শব্দ মিলিয়ে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’ (fine collation) মেলাবার জানালা খুলে যাবে।
শব্দ-স্তরে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’
১। নির্বাচিত উপাংশের শব্দ-স্তরে পাঠান্তর দেখানো হবে চার ভাগে ভাগ করা একটি পাতায়। পাতার মাথায় ওই অংশ ও উপাংশের সংখ্যা দেখা যাবে। তার সঙ্গে অন্য যে পাঠ বা সংস্করণগুলি মেলানো হচ্ছে, সেগুলির অংশ ও উপাংশের সংখ্যা উপরে বাঁদিকে একটি সারণিতে দেখা যাবে।
২। উপরের বাঁদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ দেখা যাবে।
৩। নীচের বাঁদিকের ভাগে আপনার নির্বাচিত অন্য যে-কোনও পাঠ বা সংস্করণে সমতুল্য উপাংশের পাঠ দেখা যাবে। সেটি বাছতে উপরে বাঁদিকের সারণিতে ওই পাঠ বা সংস্করণ-সংখ্যায় ক্লিক করুন।
৪। উপরের ডানদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ আবার দেখা যাবে। তাতে মিল-অমিল বোঝাতে চারটি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে:
- কালোর অর্থ, ওই শব্দটি সব পাঠেই হুবহু এক।
- লালের অর্থ, ওই শব্দটি বিভিন্ন পাঠে আলাদা কিন্তু কাছাকাছি বা তুলনীয়।
- নীলের অর্থ, শব্দটি ভিত্তি-পাঠে আছে কিন্তু অন্য এক বা একাধিক পাঠে নেই। নীলে লেখা শব্দটি ক্লিক করলে কোন-কোন পাঠে শব্দটি নেই, তা নীচের ডান দিকের ভাগে দেখা যাবে।
- সবুজের অর্থ, শব্দটি ভিত্তি-পাঠে নেই কিন্তু অন্য এক বা একাধিক পাঠে আছে। সবুজ বিন্দুতে ক্লিক করলে সেই স্থানে কোন পাঠে কী শব্দ আছে, তা নীচের ডান দিকের ভাগে দেখা যাবে।