পাতার উপর দিকে দেখুন

বিচিত্রা: বৈদ্যুতিন রবীন্দ্র-রচনাসম্ভার

Bichitra: Online Tagore Variorum :: School of Cultural Texts and Records

विचित्रा: इलेक्ट्रॉनिक रवीन्द्ररचनावली :: स्कूल ऑफ कल्चरल टेक्स्टस एण्ड रेकॉर्डज़

 
 

পাঠান্তর নির্দেশিকা

ত্রিস্তর পাঠান্তর-নির্ণয়
আমাদের পাঠান্তর-নির্ণয় সফটওয়ার ‘প্রভেদ’ তিন স্তরে পাঠান্তর নির্ণয় করে: অংশ (section) ও উপাংশ (segment) সম্বলিত বৃহৎ বা gross collation, এবং শব্দের স্তরে সূক্ষ্ম বা fine collation.

প্রভেদ ব্যবহার-প্রণালী
দ্র: সফটওয়ার প্রয়োগের স্বার্থে এই অংশের সব শিরোনাম, ফলাফল (results বা output) ইত্যাদি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে।
১। প্রথম পাতায় মেনু বারে ‘পাঠান্তর’, তারপর আপনার অভীষ্ট রচনাশ্রেণী ক্লিক করুন। রচনাসূচীর সারণি খুলে যাবে।
২। সেই সারণির বাঁদিকের সারিতে পাঠান্তরের
 
চিত্রচিহ্নে  ক্লিক করুন। এবার ‘অংশ’ স্তরে পাঠান্তরের চিত্র পরিবেশিত হবে।

অংশ-স্তরে পাঠান্তর

১। অংশ-স্তরের পাঠান্তর দেখানো হবে কতগুলি রঙিন ডোরার মাধ্যমে। এক-একটি ডোরা রচনার এক-একটি পাঠ বা সংস্করণ বোঝাচ্ছে। প্রত্যেক ডোরা একটি আলাদা রঙের।
এক-একটি ডোরার ছোট-ছোট ভাগগুলি বোঝাচ্ছে সেই পাঠ বা সংস্করণের এক-একটি অংশ (পরিচ্ছেদ, দৃশ্য, সর্গ ইত্যাদি)। দেখার সুবিধার জন্য এই ভাগগুলির মধ্যে গাঢ় ও হালকা রঙের পার্থক্য রয়েছে। আয়তনের অনুপাতে ভাগগুলি চওড়া বা সরু।
একটি ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ, যার মধ্যে কোনও অংশের ভাগ নেই, সবটাই একটিমাত্র অংশ হিসাবে দেখানো হবে: অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ডোরাটিতে কোনও গাঢ়-হালকা ভাগ থাকবে না, সবটাই এক রঙে দেখা যাবে।
অংশগুলির ক্রমিক সংখ্যা ০ থেকে শুরু। অর্থাৎ 1316/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬র সংস্করণের প্রথম অংশ। 1316/1 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয় অংশ।
২। যে পাঠটি ভিত্তি-পাঠ (base text) হিসাবে ধরে অন্যগুলির সঙ্গে তুলনা করতে চান, সেটির সূচক ডোরার উপর মাউস নিয়ে যান। সেই ডোরাটি বিশেষ ভাবে চিহ্নিত (highlighted) হবে।
৩। এবার যে অংশটির তুলনা করতে চান, ওই ডোরায় সেই অংশের সূচক ভাগটি ক্লিক করুন। অন্যান্য পাঠে অর্থাৎ ডোরাগুলিতে তার সঙ্গে মিলে-যাওয়া অংশগুলির নীচে লাল দাগ দেখা যাবে। অংশ-সংখ্যা দেখা যাবে উপরে ডান দিকের কোনে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া অংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই অংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। নীচের এই তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠ সংখ্যায় ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে উপাংশ মেলাবার জানালা খুলে যাবে।
৬। নীচে অন্য কোনও পাঠে ক্লিক করলে ডান দিকে একটি ঘর খুলে যাবে, যাতে ভিত্তি-পাঠ এবং এই নির্বাচিত পাঠ দুটির উপাংশগুলির মিল-অমিল রং মিলিয়ে দেখানো হবে। মিলে-যাওয়া উপাংশগুলি ছাই-রঙের ডোরা দিয়ে যুক্ত থাকবে।

উপাংশ-স্তরে পাঠান্তর

১। উপাংশ-স্তরে পাঠান্তরে মোটামুটি অংশ-স্তরে পাঠান্তরের মত করেই দেখা যাবে।
২। উপরের ৫ নম্বর নির্দেশমত উপাংশ স্থরের পাতাটি খুলুন। আপনার পূর্বনির্বাচিত ভিত্তি-পাঠের নির্বাচিত অংশ বোঝাতে একটি রঙিন ডোরা দেখতে পাবেন। তাতে ক্লিক করলে আরও কতগুলি রঙিন ডোরা দেখবেন, যা অন্যান্য পাঠ বা সংস্করণে মিলে-যাওয়া অংশটি বোঝাচ্ছে।
এক-একটি ডোরার ছোট-ছোট ভাগগুলি বোঝাচ্ছে সেই পাঠ বা সংস্করণে ওই অংশের এক-একটি উপাংশ (অনুচ্ছেদ, উক্তি, স্তবক ইত্যাদি)। সম্পূর্ণ রচনার মধ্যে ওই উপাংশের আয়তনের অনুপাতে ভাগগুলি চওড়া বা সরু।
একটি ছোট কবিতা, গান বা প্রবন্ধ, যার মধ্যে কোনও উপাংশের ভাগ নেই, সবটাই একটিমাত্র উপাংশ হিসাবে দেখানো হবে: অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ডোরাটিতে কোনও গাঢ়-হালকা ভাগ থাকবে না, সবটাই এক রঙে দেখা যাবে।
উপাংশগুলির ক্রমিক সংখ্যা ০ থেকে শুরু। অর্থাৎ 1316/0/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬র সংস্করণের প্রথম অংশের প্রথম উপাংশ। 1316/1/0 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয়  অংশের প্রথম উপাংশ। 1316/1/1 বোঝাচ্ছে ১৩১৬ সংস্করণের দ্বিতীয় অংশের দ্বিতীয় উপাংশ।
৩। এবার ভিত্তি-পাঠ নির্ধারক উপরের ডোরার যে উপাংশটি আপনি মেলাতে চান, সেটির নির্ধারক রঙিন ভাগে ক্লিক করুন। অন্যান্য পাঠে অর্থাৎ ডোরাগুলিতে তার সঙ্গে মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির নীচে লাল দাগ দেখা যাবে। উপাংশ-সংখ্যা দেখা যাবে উপরে ডান দিকের মার্জিনে।
৪। পাতার নীচে মিলে-যাওয়া উপাংশগুলির একটি তুলনামূলক উল্লেখ দেখা যাবে। তাতে ভিত্তি-পাঠ ও অন্যান্য পাঠের মিল-অমিলের শতাংশের হিসাব দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক পাঠের সঙ্গে একটি চিত্রচিহ্ন থাকবে। সেটি ক্লিক করলে ওই পাণ্ডুলিপি বা সংস্করণে সেই উপাংশের পাঠ ‘পপ-আপ’ হিসাবে দেখা যাবে।
৫। উপরে ডান দিকে Grid view-এ ক্লিক করলে মিল-অমিলের শতাংশভিত্তিক হিসাব সারণির আকারে দেখতে পাবেন। এখানে বাঁদিকের প্রথম সারিতে ভিত্তি-পাঠের উপাংশ-সংখ্যাগুলি দেওয়া আছে। পরের সারিগুলিতে অন্যান্য পাঠ বা সংস্করণে তুল্য উপাংশগুলির মিল দেখানো আছে, শতাংশের হিসাবে।  উপাংশ-স্তরের আগের পাতার নীচের ক্রম অনুসারে এই পাঠ বা সংস্করণগুলি ১, ২, ৩ বলে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
৬। নীচের তালিকার বাঁদিকে ভিত্তি-পাঠে ক্লিক করলে সেই ভিত্তি-পাঠ অবলম্বনে এই উপাংশের প্রতিটি শব্দ মিলিয়ে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’ (fine collation) মেলাবার জানালা খুলে যাবে।

শব্দ-স্তরে ‘সূক্ষ্ম পাঠান্তর’

১। নির্বাচিত উপাংশের শব্দ-স্তরে পাঠান্তর দেখানো হবে চার ভাগে ভাগ করা একটি পাতায়। পাতার মাথায় ওই অংশ ও উপাংশের সংখ্যা দেখা যাবে। তার সঙ্গে অন্য যে পাঠ বা সংস্করণগুলি মেলানো হচ্ছে, সেগুলির অংশ ও উপাংশের সংখ্যা উপরে বাঁদিকে একটি সারণিতে দেখা যাবে।
২। উপরের বাঁদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ দেখা যাবে।
৩। নীচের বাঁদিকের ভাগে আপনার নির্বাচিত অন্য যে-কোনও পাঠ বা সংস্করণে সমতুল্য উপাংশের পাঠ দেখা যাবে। সেটি বাছতে উপরে বাঁদিকের সারণিতে ওই পাঠ বা সংস্করণ-সংখ্যায় ক্লিক করুন।
৪। উপরের ডানদিকের ভাগে ভিত্তি-পাঠে ওই উপাংশের পাঠ আবার দেখা যাবে। তাতে মিল-অমিল বোঝাতে চারটি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে: ৫। বিন্দুর অর্থ, ওই স্থানে বর্তমান পাঠে কোনও শব্দ নেই কিন্তু অন্য এক বা একাধিক পাঠে আছে।

পাঠ বা সংস্করণের নাম

বিভিন্ন পাঠ বা সংস্করণগুলি এইভাবে নির্দিষ্ট হয়েছে:

মিলের শতাংশ-মাত্রা

শব্দে-শব্দে মিল
১ থেকে ৪ অক্ষরের শব্দ হলে, সব কটি অক্ষরচিহ্ন (character) মিললে তবেই মিল বলে গণ্য হচ্ছে। ৪-এর বেশি অক্ষরচিহ্ন থাকলে, বাড়তি প্রতিটি ১-৪ অক্ষরে একটি গরমিল মেনে নেওয়া হচ্ছে: অর্থাৎ ৫ থেকে ৮ অক্ষরচিহ্নের শব্দে একটি অক্ষরে গরমিল, ৯ থেকে ১২ অক্ষরচিহ্নের শব্দে দুটি অক্ষরে গরমিল, ইত্যাদি।
দ্র: অ-কার বাদে সব স্বরবর্ণ-চিহ্ন একটি স্বতন্ত্র অক্ষরচিহ্ন হিসাবে ধরা হয়েছে। যুক্তাক্ষরের প্রত্যেকটি উপাদানও একটি স্বতন্ত্র অক্ষরচিহ্ন হিসাবে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ ‘কাল’ শব্দে আছে ৩টি অক্ষরচিহ্ন, ‘বর্ষা’ শব্দে ৪টি অক্ষরচিহ্ন, ‘নম্রতা’ শব্দে ৫টি অক্ষরচিহ্ন, ‘রবীন্দ্রনাথ’ শব্দে ৯টি অক্ষরচিহ্ন।

অংশ ও উপাংশের মিল

১। সাধারণভাবে দুটি অংশ বা উপাংশের মধ্যে উভয় দিক দিয়ে গুনে অন্তত ৬০% মিল পেলে সে অংশ বা উপাংশ দুটিতে মিল আছে বলে গণ্য হচ্ছে।
২। যদি কোথাও এক পাঠের একটি বড় অংশ বা উপাংশ অপর পাঠে দুই বা ততোধিক ছোট অংশ বা উপাংশে ভাগ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এই হিসাব মিলবে না। অতএব কেবল এক দিকে ৬০%+ মিল পেলে, অন্য দিক থেকে tension count করে ১৫%-এর অধিক মিল পেলেই অংশ বা উপাংশ দুটির মধ্যে মিল দেখানো হচ্ছে।
৩। এর ফলে অবশ্য কিছু-কিছু ভুল মিলও দেখা যাবে, কারণ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অংশ বা উপাংশের মধ্যেও দৈবাৎ ১৫%+ মিল ঘটতে পারে। এটি সচরাচর ঘটবে এক বা খুব অল্প কয়েকটি শব্দ-সম্বলিত উপাংশের ক্ষেত্রে। অতএব ৩০-৩৫%-এর নীচে কোনও মিল গ্রহণ করার আগে পাঠটি দেখে নেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন –- বিশেষ করে যদি পাশাপাশি ৬০%-এর বেশি আরেকটি মিলও দেখানো থাকে।
৪। মাঝে-মাঝে, একটি শব্দ বা বাক্যাংশ বারবার পাওয়া যায় – যেমন নাটকে ‘প্রস্থান’ ইত্যাদি মঞ্চনির্দেশে বা কবিতার ধুয়াতে। এর ফলে একই পাঠের মধ্যে বারবার ৮৫%+ এমনকী ১০০% মিল পাওয়া যেতে পারে। এই সঠিক কিন্তু বিভ্রান্তিকর মিলের সংখ্যা সীমিত রাখার জন্য, বারবার এমন মিল পাওয়া গেলে প্রত্যেক অংশে কেবল প্রথম নজিরটি গ্রহণ করা হয়েছে।

বলা বাহুল্য, কোনও অংশ বা উপাংশে মাত্র একবার ৮৫%+ মিল পেলে সেটি সর্বদাই গণ্য হয়েছে, কারণ ধরে নেওয়া যায় সেটি যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ মিল।